EB Players at MBSG Match: ডুরান্ডে ফের ডার্বি; যুবভারতীতে খেলল মোহনবাগান, দেখল ইস্টবেঙ্গল
Durand Cup 2023, 2nd Semi-Final: গোলের পর বিশেষ সেলিব্রেশন আর্মান্দো সাদিকুর। কারণ খোলসা করলেন। এই সেলিব্রেশন তাঁর ২ বছরের ছেলে লুইসের জন্য। গোয়ার বিরুদ্ধে গোল এবং জয় ছেলেকেই উপহার, জানালেন আর্মান্দো সাদিকু।
কলকাতা: দীর্ঘ ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। একই সঙ্গে আরও একটা অপেক্ষা মিটল সমর্থকদের। এ দিন এফসি গোয়াকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে মোহনবাগানও। ২০০৪ সালের পর ফের ডুরান্ড কাপের ফাইনালে কলকাতা ডার্বি। গত কয়েক বছর এক পেশে ডার্বি দেখেছে কলকাতা। বিভিন্ন টুর্নামেন্ট মিলিয়ে টানা আটটি ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। প্রতিটি ডার্বির আগেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, এ বার হয়তো বদল হবে। সেই ‘এ বার’ অবশেষে এসেছে ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে। মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি ১-০ ব্যবধানে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। রবিবার ১৩২তম ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। ট্রফির ম্যাচে ফের মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ডুরান্ড কাপের সবচেয়ে দুই সফল দল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। দুই প্রধানই ১৬ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ বার যে ট্রফি জিতবে, সফলতম দল হয়ে উঠবে। তার প্রস্তুতিও যেন শুরু হয়ে গিয়েছে। মরসুমের প্রথম ডার্বির আগেও প্রতিপক্ষকে মাপতে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান ও পঞ্জাব এফসি ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন কুয়াদ্রাত। ফাইনালের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে মাপতে আরও একবার মাঠে পৌঁছে গেলেন। এ বার শুধু তিনি বা সহকারী নন, ফুটবলাররাও। যুবভারতীতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম এফসি গোয়া ম্যাচে হাজির ইস্টবেঙ্গলের কোচ এবং বেশ কয়েকজন ফুটবলার। কার্লেস কুয়াদ্রাত ছাড়াও ছিলেন জর্ডন এলসে, হাভিয়ের সিভেরিও, বোরহা হেরেরা এবং সাউল ক্রেসপোর মতো ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি ফুটবলাররা। আরও একটা ডার্বির জন্য মানসিক প্রস্তুতি সেরে গেলেন। এ বার মাঠের প্রস্তুতি সারার পালা।
মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত সমর্থকদের মুখে বদলার কথা। এই মাঠেই বদলা নেব, এমন পোস্টারও চোখে পড়ল। মোহনবাগান কোচ অবশ্য রবিবারের ম্যাচকে বদলার দেখছেন না। তবে সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা, সেটাও ভুলছেন না। হুয়ান ফেরান্দো বলছেন, ‘ডার্বি কোনও বদলার নয়। কারণ, এটা প্রি-সিজন। আমাদের সামনে আইএসএল, এএফসি কাপও রয়েছে। তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সমর্থকদের কাছে অবশ্যই ডার্বি আকর্ষণীয়।’
কোচের সঙ্গে অবশ্য পুরোপুরি একমত নন এ দিন মোহনবাগানের জয়সূচক গোল করা আর্মান্দো সাদিকু। তাঁর গলায় যেন সমর্থকদের সুর। বলছেন, ‘সমর্থকরা চায় বড় ম্যাচ জিততে। রিকোভারি আমাদের জরুরি। কোচ যতই বলুক, আমার কাছে অবশ্যই ডার্বি বদলার। কারণ, আগেরটা আমার প্রথম ম্যাচ ছিল। দলের জয়সূচক গোল করে দারুণ লাগছে। এ বার হয়তো সমর্থকরা আমাকে ভালোবাসবে।’
গোলের পর বিশেষ সেলিব্রেশন দেখা যায় আর্মান্দো সাদিকুর। সেই প্রসঙ্গেও জানালেন। এই সেলিব্রেশন তাঁর ২ বছরের ছেলে লুইসের জন্য। গোয়ার বিরুদ্ধে গোল এবং জয় ছেলেকেই উপহার, জানালেন আর্মান্দো সাদিকু।