রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। তবে মোহনবাগানকে এতটা চাপে ফেলবে পঞ্জাব এফসি, তা অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল না। নির্ধারিত এবং অ্যাডেড টাইমে স্কোরলাইন ৩-৩ থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পঞ্জাবের গোলরক্ষক রবি কুমার। মোহনবাগানের বিশাল কাইথ। ম্যাচের ভাগ্য গোলকিপারদের হাতেই। জেসন কামিন্সের স্পট কিক পোস্টে লাগে। মনবীর অবশ্য গোল করেন। প্রথম দুই শটের পর ২-১ এগিয়ে ছিল পঞ্জাব এফসি। বিশাল কাইথ একটি সেভ করেন। পঞ্চম শট নেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। গোলও করেন। পাঁচ শটের পর স্কোর লাইন ৪-৪ দাঁড়ায়। ফিফার নিয়মে এখন আর সাডেন ডেথ শব্দটি ব্যবহার হয় না। টাইব্রেকার চলতে থাকে। বিশাল কাইথ আরও একটি সেভ এবং টম অ্যালড্রেড স্পট কিক থেকে গোল করতেই সেমিফাইনালে মোহনবাগান।
ম্যাচের শুরু থেকে মনে হচ্ছিল মোহনবাগান সহজেই জিতবে। যদিও কড়া টক্কর দেয় পঞ্জাব এফসি। এরপরও ২-১ এর লিড নিয়েছিল মোহনবাগান। ৬২ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল জালাকের। ২-২ করে পঞ্জাব এফসি। মোহনবাগানের কাজ আরও কঠিন হয়। প্রশ্ন ওঠে মোহনবাগানের ডিফেন্স নিয়েও। তা হলে কি আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল মোহনবাগান রক্ষণ? নাকি আক্রমণে বাড়তি নজর দিতে গিয়ে মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে! যাই হোক না কেন, স্কোর লাইন ২-২ হতেই একটা আশঙ্কা কাজ করছিল। কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিয়েছিল গত বারের রানার্স ইস্টবেঙ্গল। চ্যাম্পিয়নরাও যদি কোয়ার্টারেই বিদায় নেয়! সেই আশঙ্কাই কাজ করছিল। ৬৮ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসকে নামানো হয়।
ম্যাচের ৭১ মিনিটে আবারও ধাক্কা। বক্সের বাঁ-দিক থেকে দুর্দান্ত শটে গোল পুলগা ভিদালের। তার আগে দারুণ একটা পাস বাড়িয়েছিলেন জালাক। অবশেষে ৮০ মিনিটে ম্যাচে ফেরে মোহনবাগান। বক্সের বাঁ দিক থেকে লিস্টনের ক্রস ডানদিকে মনবীরকে। তিনি বল ধরেই সেন্টার করেন মনবীর। জেসন কামিংস এগিয়ে আসছিলেন। রানিংয়েই গোলে শট নিয়ে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন। ৭ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। ডুরান্ডের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের ম্যাচের ফল না হলে সরাসরি টাইব্রেকার। সেদিকেই এগোয় ম্যাচ। রুদ্ধশ্বাস জয়ে শেষ চারে মোহনবাগান। টানা দ্বিতীয় বার ডুরান্ডের সেমিতে সবুজ মেরুন।