কলকাতা: আনোয়ার ইস্যুতে পিছু হঠছে মোহনবাগান। ভারতীয় দলের তারকা ডিফেন্ডারকে পাওয়ার আশা ছাড়ছে সবুজ-মেরুন। এ মাসের মাঝামাঝি আনোয়ার ইস্যুতে সরগরম হয় ময়দান। আচমকাই ইস্টবেঙ্গলের প্রি কনট্রাক্টে সই করে ফেলেন পঞ্জাব তনয়। গত বছরই চার বছরের লোন চুক্তিতে মোহনবাগানে সই করেন আনোয়ার। এ বছর পরিস্থিতি একেবারে ঘুরে যায়।
আনোয়ার আলিকে পেতে চণ্ডীগড় চলে যান ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। সঙ্গী ফুটবল সচিব। সাতের দশকের মতোই সিনেমার কায়দায় আনোয়ারকে নিজেদের জালে জড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। আনোয়ারকে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে অনুঘটকের কাজ করেন দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজ। এ মাসের শুরুতেই মোহনবাগানকে চিঠি দিয়ে আনোয়ার জানান, তিনি সবুজ-মেরুনের সঙ্গে ফুল টাইম চুক্তিতে সই করতে চান। তার জন্য ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেন আনোয়ার।
নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরই ইস্টবেঙ্গলে সই করেন পঞ্জাব তনয়। এরপরই সরগরম হয় ভারতীয় ফুটবল। আনোয়ার ইস্যুতে চলে লড়াই। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই প্রধানের সমর্থকরা আকচাআকচিতে জড়িয়ে পড়েন। আর এই সব কিছুতে প্রধান ভূমিকা নেন দিল্লির কর্তা রঞ্জিত বাজাজ। মোহনবাগান এরপর আনোয়ারকে শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। এমনকি ডুরান্ডেও রেজিস্ট্রেশন করানো হয় পঞ্জাব তনয়কে। আনোয়ার সেসব পথে হাঁটেননি।
ভারতের তারকা ডিফেন্ডার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির দ্বারস্থ হয়। অগাস্টের ২ তারিখ বৈঠকে বসবে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। আনোয়ার হাতছাড়া ধরে নিয়েই বড়সড় ক্ষতিপূরণ চেয়েছে মোহনবাগান। সূত্রের খবর, আনোয়ারকে শাস্তি হিসেবে ৬ মাস নির্বাসিত করতে পারে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। একই সঙ্গে আনোয়ার আলির ক্লাব দিল্লি এফসিকেও শাস্তি দিতে পারে ফেডারেশন। দুটো ট্রান্সফার উইন্ডো নির্বাসিত হতে পারে দিল্লি এফসি।