দোহা: বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রবিবার মুখোমুখি হয়েছিল কাতার এবং ইকুয়েডর। দলের প্রথম ম্যাচে আল বায়াত স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন প্রচুর ইকুয়েডর সমর্থকও। খেলার দেখার পাশাপাশি লাতিন আমেরিকার এই ফুটবল দলের সমর্থকরা চিৎকার করছিলেন, “কুইরেমস কারভেজা”। যার অর্থ “আমরা বিয়ার চাই।”
কাতার বিয়ার সহ যে কোনও ধরনের অ্যালকোহলিক পানীয় নিষিদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই সরব ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। স্টেডিয়ামে বিয়ারের ব্যবস্থা করা হবে বলে এক সময় আশ্বাসও দিয়েছিল ফিফা। কিন্তু শেষমেশ তা হয়নি। কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থার আপত্তিতে শেষমেশ বিয়ার থাকবে না বলে জানিয়ে দেয় ফিফা। হতাশ হয় বিদেশ থেকে সেখানে যাওয়া ফুটবলপ্রেমীরাও।
এ বার বিয়ারের বিষয় উঠে এল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ভ্যালেন্সিয়ার জোড়া গোলে এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যখন দলের হাতে তখন ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন ইকুয়েডরের সমর্থকরা। সে সময়ই গ্যালারি থেকে বিয়ারের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। সেই ঘটনার ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।
স্টেডিয়ামে বিয়ার পাওয়া যাবে, তা যখন এক প্রকার নিশ্চিত, তখন শুক্রবার কাতারের রয়্যাল ফ্যামিলি সিদ্ধান্ত নেয় স্টেডিয়ামের ভিতরেও বিক্রি করা যাবে না বিয়ার। রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র ফ্যান জোনে গিয়ে বিয়ার খেতে পারবেন সমর্থকরা। তাও পর্যাপ্ত পরিমাণে। মাথা পিছু ৪ গ্লাসের বেশি বিয়ার দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বকাপ শুরুর প্রাক্কালে স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি এক দিনে কেউ তিন ঘণ্টা বিয়ার না খেতে পায়, তাহলেও সে বেঁচে থাকবে।” যদিও এত কিছুর পরও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েই গিয়েছে। এমনকি জানা গিয়েছে, ফিফার সহযোগী স্পনসর বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা বাডওয়াইজার ফিফার কাছে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চাইবে বলে দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে।