কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)-ইমামি (Emami) চুক্তি প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। নতুন কোম্পানি গঠনের জন্য গত মঙ্গলবারই ক্লাবের তরফ থেকে এনওসি দিয়ে দেওয়া হয়। নতুন কোম্পানি গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে দ্রুত গতিতে। ‘ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামেই নতুন কোম্পানি তৈরি হচ্ছে। এই নামে কোম্পানি গঠনের জন্য আবেদনও করা হয়ে গিয়েছে। দুই পক্ষের কর্তারাই আশা করছেন দ্রুত গতিতে এ বার কাজ এগোবে। ইমামির অন্যতম ডিরেক্টর আদিত্য আগারওয়াল এই মুহূর্তে দেশের বাইরে আছেন। সামনের সপ্তাহে তিনি শহরে ফিরলেই ইমামি-ইস্টবেঙ্গল চূড়ান্ত ভাবে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে। যাবতীয় কাগজপত্রও তৈরি করা হচ্ছে। চুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য ইমামি কর্তাদের সঙ্গে কথাও চালাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে একদফা বৈঠক করেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। চুক্তি প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে কি ভাবে এগোনো সম্ভব, কি ভাবে দলগঠন শুরু করা প্রয়োজন, সে বিষয়েই আলোচনা করেন লাল-হলুদ কর্তারা। ২০ জুলাই থেকে কলকাতা লিগ শুরু হওয়ার কথা। ১৬ অগাস্ট থেকে শুরু হবে ডুরান্ড কাপ। হাতে সময় একেবারেই কম। এর মধ্যেই সব কাজ দ্রুত গতিতে এগোতে হবে।
এ দিকে মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘আমার মতে, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান কোনও টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সারির দল নামানোর জন্য খেলে না। অন্য যে কোনও দল তাদের রিজার্ভ টিম খেলাতেই পারে। তবে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল খেললে তাদের সেরাটাই মাঠে নামায়।’ কলকাতা লিগে মোহনবাগানের খেলা নিয়ে সংশয় এখনও রয়েছে। এমনকি ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। সেই প্রসঙ্গেই এই কথা বলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব।