কলকাতা: গত ২ অগস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পথ চলা শুরু হয়েছিল। কলকাতার এক হোটেলে ইমামির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে গাঁটছড়া বাঁধে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে ১ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসেও উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। ১৭ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আর্কাইভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনও ক্লাবে দেখা যায় ইমামির কর্তাদের। গাঁটছড়া বাঁধার আগে থেকেই দলগঠনের কাজে নেমে পড়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সইয়ের পর একের পর এক ফুটবলারকে সই করায় লাল-হলুদ। ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব প্রাইভেট লিমিটেড নামে নতুন বোর্ডও গঠন হয়। বুধবার, ৭ তারিখ সেই বোর্ডের প্রথম বৈঠক। বাইপাসের ধারে ইমামি অফিসেই দুপুর ৩টেয় ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। এমনই খবর সূত্রের।
প্রায় একমাস পেরিয়ে গেলেও বোর্ড মিটিং হয়নি। অবশেষে সেই বৈঠক হতে চলেছে বুধবার। বোর্ডে বিনিয়োগকারী সংস্থার হাতে থাকছে ৭৭ শতাংশ শেয়ার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হাতে থাকছে বাকি ২৩ শতাংশ শেয়ার। ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে বোর্ডে থাকতে চলেছেন দেবব্রত সরকার, রূপক সাহা ও সদানন্দ মুখোপাধ্যায়। সমাজের বিশিষ্ট মানুষ হিসেবে বোর্ডে থাকছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত।
সূত্রের খবর, ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের সিইও হিসেবে ইতিমধ্যেই একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। একেবারে পেশাদারি কায়দাতেই ফুটবল চালানোর বার্তা দিয়েছিল বিনিয়োগকারী সংস্থা। আনুষ্ঠানিক গাঁটছড়ার পর প্রথম বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা। অক্টোবর থেকেই শুরু আইএসএল। হোম ম্যাচগুলো কি ভাবে আয়োজন করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। এ ছাড়া ফুটবলের উন্নতিসাধনে একটা রূপরেখাও তৈরি হতে পারে ওই বৈঠকে।