কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতাঃক্লাব-ইনভেস্টর চুক্তি জট এখনও মেটেনি। প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ১১ জনের কোর কমিটি। মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন এই কোর কমিটি চুক্তি জট ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইনভেস্টরের প্রতিনিধির সঙ্গেও এই ইস্যুতে বসতে চিয় এই কোর কমিটি।
শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর এই মুহূর্তে শহরে। আজকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বৈঠকের পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। টিভি নাইন বাংলাকে তাঁর এক্সক্লুসিভ প্রতিক্রিয়া, ‘আমি তো চাই। প্রাক্তন ফুটবলাররা তো আমাদেরই অঙ্গ। ওরাই তো আমাদের সম্পদ। তাদের সঙ্গে কেন দেখা করব না। নিশ্চয়ই দেখা করব। কারও সঙ্গে তো শত্রুতা নেই। তবে এখন কিসের যুক্তিতে তাদের সঙ্গে দেখা করব? ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এখনও মূল চুক্তিপত্রে সই করেনি। যতক্ষণ না সই হচ্ছে, ততক্ষণ এই প্রাক্তন ফুটবলাররা আমাদের বিপরীত প্রান্তে থাকবে। ক্লাব মূল চুক্তিপত্রে সই করলে আমরা সবাই এক হয়ে যাব। তখন নিশ্চয়ই সবার কথা শুনব, আলোচনায় বসব।’
চুক্তি জট ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘চুক্তির বিষয়ে কেন তাদের সঙ্গে দেখা করব বলুন? গত বছর তো ক্লাব সব বুঝেই টার্মশিটে সই করেছিল। আমি তো ক্লাবকে জোর করিনি। তখন তো সব বোঝাপড়া হওয়ার পরই ক্লাব সই করেছিল। চুক্তিপত্রে সই না করলে আর এক পয়সাও বিনিয়োগ করব না।’
পার্থ সেনগুপ্তর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে চুক্তিপত্রে সাতটি জায়গায় নমনীয় হয়েছে ইনভেস্টর। বাঙ্গুর এই বিষয়ে কোনও খোলসা করেননি। তাঁর সাফ জবাব, ‘এই বিষয়ে আমি অস্বীকারও করছি না, আবার সহমতও হচ্ছি না। যা বোঝার বুঝুন।’
ক্লাব কী আইএসএল খেলবে? দল কবেই বা গঠন হবে? বাঙ্গুরের উত্তর, ‘এটা তো ক্লাবের হাতেই। আমরা তো খেলতেই চাই। কিন্তু ক্লাবকে বুঝতে হবে। চুক্তিপত্রে সই না হলে কিছুই হবে না। একতরফা কোনও কিছুই হতে পারে না।’
এক সপ্তাহের মধ্যেই দুবাই চলে যাবেন হরিমোহন বাঙ্গুর। ব্যবসায়িক কাজে কয়েকদিন আগে শহরে এসেছিলেন।