অকল্যান্ড: মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA Women’s World Cup) কি ছেলেদের বিশ্বকাপের মতো জনপ্রিয়? কোনও ভাবেই নয়। কিন্তু ফিফা ছেলেদের মতোই মেয়েদের বিশ্বকাপকেও জনপ্রিয় করে তুলতে চায়। মেয়েদের ফুটবল আগের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু সবটাই খাতায়-কলমে। আজও মেয়েদের ফুটবল (Women’s Football) আগের মতোই অবহেলিত। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথ ভাবে আয়োজন করছে মেয়েদের বিশ্বকাপ। সেরা তারকাদের খেলতে দেখা যাবে সেখানে। কিন্তু অবব্যস্থা চরমে। ট্রেনিং মাঠ থেকে শুরু করে ম্যাচ খেলার মাঠ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। ফিফার কাছে সরকারি অভিযোগ করেও মেলেনি কোনও আশ্বাস। কেন এমন হবে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবল দুনিয়া। বিস্তারিত TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
মেয়েদের বিশ্বকাপ এখনও পেশাদার স্তরে পা রাখেনি, তার প্রমাণ মিলছে নিউজিল্যান্ডে। নেদারল্যান্ডসের কোচ এ নিয়ে তুলে দিয়েছেন বিতর্ক। ট্রেনিং মাঠ নিয়েই যত অভিযোগ তাঁর। ঠিকঠাক ট্রেনিং করতে না পারলে কমলা জার্সি ভালো ফুটবল উপহার দেবে কী করে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কোচ আন্দ্রেয়াস জোনকার। মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘বুধবার এখানে এসে পৌঁছনোর পর ভেবেছিলাম, সব ঠিকই থাকবে। কিন্তু ট্রেনিং গ্রাউন্ড দেখার পর বুঝতে পেরেছি যা প্রত্যাশা করেছিলাম, তা নেই। এই মাঠে প্র্যাক্টিস কোনও ভাবেই করব না।’
তুরাঙ্গার বে ওভালে ডাচ টিমের ট্রেনিং মাঠ। যা আসলে ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নিউজিল্যান্ড অন্যান্য খেলার পাশাপাশি ক্রিকেটও বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হলে যে পরিমাণ প্র্যাক্টিস মাঠ থাকার কথা, তা সম্ভবত নেই। যে কারণে ক্রিকেট মাঠকে ফুটবলের ট্রেনিং মাঠে বদলানো হয়েছে। কিন্তু মাঠের মাঝখানে ক্রিকেট পিচ থেকে গিয়েছে। তাতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। জোনকার বলছেন, ‘ক্রিকেট পিচ থাকতে পারে, সেটা আগেই অনুমান করেছিলাম। তেমন যাতে না ঘটে, তা বলাও হয়েছিল। আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তেমন কিছু ঘটবে না। কার্যত তান হয়নি। আমরা একেবারেই খুশি নই। পর্তুগালের বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম ম্যাচ এখানে। তার জন্য যথাযথ ট্রেনিং দরকার। বিশ্বকাপের মতো টুর্মামেন্টে এমনটা হওয়া উচিত নয়।’
ফুটবলারদের চোট লাগার ভয় পাচ্ছেন ডাচ কোচ। তাঁর কথায়, ‘এই মাঠে পড়ে গেলে কাঁধে, কনুইয়ে চোট লাগতে বাধ্য। ঘাসের মাঠ থেকে ক্রিকেট পিচে দৌড়ে উঠলেও টান ধরে যেতে পারে। সে কথা মাথায় রাখা হল না কেন?’ ঘটনা হল, ফিফা বিশ্বকাপের আগে দু’বার পর্যবেক্ষণ করেছিল মাঠের। তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ক্রিকেট মরসুম শেষ হলেই ট্রেনিং মাঠকে ফুটবল মাঠে বদলে ফেলা হবে। কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। যে কারণে ক্ষোভে ফুটছে নেদারল্যান্ডস।