কলকাতা: সিকিমের ভূমিপুত্রর হাত ধরে শহরে উন্মোচিত হল হিমালয়ান অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের ব্যানার। ঠিক ১৪ বছর আগে শুরু হয়েছিল হিমালয়ান অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল। শুদ্ধ হাওয়া, শুদ্ধ মাটি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে বুধবার এই সংক্রান্ত নয়া ব্যানার উন্মোচন হল। আর সেই ব্যানার উন্মোচন করলেন ভারতীয় ফুটবল টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)।
হাতে কমলালেবু নিয়ে “হিমালয়ান অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪” এর উদ্বোধন করেন বাইচুং। এই উদ্যোগ পাহাড়ি এলাকাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। এর ফলে কর্মসংস্থান বেড়েছে বলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। এ বিষয়ে বাইচুং ভুটিয়া বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাহাড়ে হিমালয় অনেক পর্যটকরা যান। আমার ছোট গ্রামে অনেক মানুষের আসা যাওয়া। হিমালয়ান ট্যুরিজম ফেস্টিভালের পর তাতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সিকিমে এবং পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অংশে অনেক হোম-স্টে তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং গিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গে স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজ হচ্ছে। ৩০ হাজারের বেশি জায়গায় গ্রামীণ পর্যটন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।’
হিমালয়ান অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাইচুং ভুটিয়া। পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিজম এবং ভারত সরকার ট্যুরিজম এক্ষেত্রে অনেক ভালো কাজ করছে। এমনটা শোনা গিয়েছে বাইচুংয়ের মুখে। অনেক গ্রামীণ অঞ্চল থেকে এবং কলকাতার বাজার থেকে নানা মানুষ হিমালয়ান ট্যুরিজমে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন বাইচুং।
আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিটি সেন্টারে ষষ্ঠতম অরেঞ্জ হিমালয়ান ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে। সংস্থার পক্ষ থেকে স্যাটার্স ইনস্টিটিউট তৈরি করার জন্য ভারত সরকারের পর্যটক মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যখন এই উৎসব শুরু হয়েছিল, তখন ২০টি স্টল দিয়ে শুরু হয়। এ বার সেটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৫টি। যেখানে পাহাড়ি এলাকার নানা খাবার থেকে নিয়ে হস্তশিল্পের কাজ থাকবে। গ্রামে ব্যবহৃত জিনিসপত্র থাকবে। পাহাড়ি সংস্কৃতির ছোয়া থাকবে এই অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালে।
পাহাড়ের স্বাদের মজা নিতে ভিড় জমাতে পারেন অনেকেই এই তিনদিন ব্যাপী অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালে। গতবার এই মেলায় এক লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। সেটা এ বছর আরও বাড়বে বলে আশাবাদী সংগঠনের সদস্যরা। এই মেলায় পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানালেন অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভালের উদ্যোক্তারা।