দোহা: এমবাপেদের সামনে ছিল সহজ সমীকরণ। ফ্রান্স জিতলেই শেষ ষোলোয়। তিনটি বিশ্বকাপ পর ‘অভিশাপ’ কাটানোর সুবর্ণ সুযোগ কিলিয়ান এমবাপেদের সামনে। হলই তাই। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের দুঃসহ স্মৃতি কাটিয়ে শেষ ষোলোয় পা দিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল। পরের ম্যাচে ডেনমার্কের জমাটি রক্ষণ ভেদ করে ২-১ গোলে জিতল ফ্রান্স। পুরো ম্যাচেই নাটকীয় পরিস্থিতি। প্রথমার্ধে হাজারো চেষ্টা করেও গোল তুলে নিতে পারেনি ফরাসিরা। দ্বিতীয়ার্ধে চলল সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। উপর্যিপুরি কর্নার। ড্যানিশদের ডিফেন্সকে রীতিমতো পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয় ফ্রান্স। লড়াই চালালেও ফ্রান্সের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারলেন না এরিকসেনরা। ফল ২-১ ম্যাচ জিতেছে নকআউটে দিদিয়ের দেশঁ-র দল। পুরো ম্যাচ রিপোর্ট পড়ে নিন TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
২০০২ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে আসা প্রথম দল হিসেবে নকআউটে ফ্রান্স। একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে দুটি দলই। ম্যাচ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরই রাশ নিজেদের হাতে নেয় ফ্রান্স। মুহূর্মুহূ আক্রমণ, ম্যাচের ২২ মিনিটে বড় সুযোগ আসে ফ্রান্সের কাছে। গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে ডেম্বেলের দিকে বাড়ানো বল ব়্যাবিয়ট হেড করেন ঠিকঠাকভাবে। যদিও লাফিয়ে দারুণ সেভ করেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক ক্যাসপার। ম্যাচের ৪০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। বক্সের সামনে বল বাড়ান ডেম্বেলে। এমবাপে শট নেওয়ার তাড়াহুড়ো করলে গোলবারের মাথার উপর দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। একাধিক সুযোগ এলেও তার সদ্ব্যবহার না হওয়ায় প্রথমার্ধে গোলশূন্য থেকে যায়। ২২ বছরের পিএসজি তারকার চোখেমুখে হতাশা ছিল স্পষ্ট। অথচ দ্বিতীয়ার্ধে যেন নিজেকে পাল্টে ফেলে নামলেন এমবাপে। ম্যাচের ৬০ মিনিটে বিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি গ্রিজম্যান। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই ফরাসিদের হতাশা কাটালেন ২২ বছরের কিলিয়ান। দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান।
গোল হজম করে যেন জেগে ওঠে ডেনমার্ক। ফলস্বরূপ ৮৬ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের কর্নার থেকে আসা বল অ্যান্ডারসনকে ছুঁয়ে চলে যায় আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসনের কাছে। হুগো লরিসকে পরাস্ত করে জালে বল পাঠিয়ে দেন। ড্যানিশদের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। গ্রিজম্যানের অ্য়াসিস্ট থেকে ব্যক্তিগত ও ম্যাচের দ্বিতীয় গোল এমবাপের। ফ্রান্সের হয়ে ১২টি ম্যাচে ১৪টি গোল তাঁর। বাকি সময়টা ডেনমার্কের তরফে বিপদ আসেনি ফ্রান্সের কাছে।