দোহা: কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনাকে (Argentina) হারিয়ে দুরন্ত শুরু সৌদি আরবের (Saudi Arabia)। প্রথমার্ধে এলএম টেনের (LM10) গোলে পিছিয়ে পরলেও দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোলে খেলা ঘুরিয়ে দেন সৌদি আরব। এই দুরন্ত জয়ের পিছনে নিঃসন্দেহে ফুটবলারদের বড় ভূমিকা রয়েছে। মাঠে নেমে তাঁরাই চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করেছেন। কিন্তু যার ভূমিকা না বললেই নয়, তিনি আর কেউ নন কোচ হার্ভ রেনার্ড (Herve Renard)। তাঁর নাকি একটি নিজস্ব স্টাইল রয়েছে ফুটবলারদের এমন বড় মঞ্চের জন্য তৈরি করার! কী সেই স্টাইল? তুলে ধরল TV9 Bangla।
হার্ভ রেনার্ড তার বেশিরভাগ সময় নিচের সারির ক্লাবে কাটিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে অনামি ফরাসি ক্লাব এসসি ড্রাগুইগনান থেকে শুরু করেছিলেন। তাদের তিনটি ব্যাক-টু-ব্যাক সাফল্য লাভে সাহায্য করার পর, তিনি কেমব্রিজ ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেন। কেমব্রিজ সে সময় ইংলিশ ফুটবলের তৃতীয় ডিভিশনে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁর কেরিয়ার তাঁকে ভিয়েতনামে নিয়ে যায় । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়েক মাস থাকার পর, ফ্রান্সে ফিরে পঞ্চম ডিভিশনের দল এএস শেরবোর্গে যোগ দেন।
তিনি যখন যে দলের দায়িত্বে থাকেন সেখানেই নিজের একটি ছাপ, ঘরানা তৈরি করেন। শুধু তাই নয়, খেলার জন্য তিনি ফুটবলারদের ফিটনেসের উন্নতিতে প্রচুর জোর দেন। তিনি যে দলেরই দায়িত্ব নিয়েছেন, মাঠের বাইরের সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন এনেছেন। সেটা ফুটবলারদের ডায়েটের ক্ষেত্রে হোক কিংবা রিকোভারি। তবে ক্লাব ফুটবলে বিশাল কিছু সাফল্য় নেই এই কোচের। জাতীয় দলের ক্ষেত্রে বরাবরই উদাহরণ তৈরি করেছেন। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে মরক্কোর যোগ্যতা অর্জনের অন্য়তম বড় অবদান ছিল হার্ভ রেনার্ডের। জাম্বিয়া ও আইভরি কোস্টাকে আফ্রিকা নেশন্স কাপ চ্য়াম্পিয়ন করেন। প্রথম কোচ হিসেবে দুটি ভিন্ন দেশের হয়ে এই টুর্নামেন্ট জয়ে নজির গড়েন।
আরেকটা বিষয় লক্ষ্য় করা যায় তাঁর ক্ষেত্রে। অনেকেরই কিছু না কিছু ‘লাকি চার্ম’ থাকে। সবটাই নিজের বিশ্বাস। হার্ভের ক্ষেত্রে সেটি সাদা শার্ট! সাদা জামা পরার প্রসঙ্গে অবশ্য হার্ভ জানিয়েছেন, জাম্বিয়ার কোচ থাকাকালীন ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস-এর ম্যাচে নীল শার্ট পরেছিলেন। তাঁর দল হেরে যায় ২-৩ গোলে। পরের খেলায়, সাদা শার্ট পরেন। দল জেতে। সেই থেকে চেষ্টা করেন সাদা শার্টেই টেকনিকাল এরিয়ায় থাকতে।