FIFA World Cup 2022: বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রতিবাদকারী যুবক ছাড়া পেলেন কার সাহায্যে?
Mario Ferri : সমকামিতাকে সমর্থন জানাতে চেয়েছেন। মারিও-র শার্টের সামনে লেখা ছিল 'সেভ ইউক্রেন' এবং পিছনে ইরানি মহিলাদের সম্মান জানানোর বার্তা। তাঁর উদ্দেশ্য ইতিবাচক হলেও খেলার মাঝে মাঠে ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। তাঁকে গ্রেফতার করে কাতারের পুলিশ।

দোহা: কাতার বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) শুরু থেকেই নানা বিতর্ককে সঙ্গে করে বয়ে চলেছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্বকাপ আয়োজককারী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে কাতার (Qatar)। আর তখন থেকেই বিতর্কের সুত্রপাত। রক্ষণশীল কাতারের একাধিক বিধি নিষেধকে ঘিরে উঠেছিল নিন্দার ঝড়। সেই সঙ্গেই ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলনের প্রভাবের মতো একাধিক বিষয় ছিলই। এ সবের প্রতিবাদ জানিয়ে, বিশ্বকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এক কান্ড করে বসেছিলেন ইতালির যুবক। নিরাপত্তা ভেদ করে ম্যাচের মাঝেই মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁকে গ্রেফতারও করে কাতার পুলিশ। পরে ফিফার (FIFA President) প্রেসিডেন্টের সাহায্যে ছাড়া পান সেই যুবক। ছাড়া পাওয়ার পর সেই যুবকের প্রতিক্রিয়া কী? তুলে ধরল TV9 Bangla।
কাতার বিশ্বকাপ শুরু থেকেই অঘটনের বিশ্বকাপের সঙ্গেই বিতর্কের বিশ্বকাপও বটে। একের পর এক বিতর্ক উঠে এসেছে কাতারকে ঘিরে। হিজাব আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ইরান জাতীয় দলের ফুটবলাররা বিশ্বকাপের ময়দানে জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়াও কাতারে সমকামিতা অপরাধ। এই বিষয়ের তীব্র নিন্দা করে ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা সিন্ধান্ত নেন তাঁরা ‘একটাই ভালবাসা’ বাহুবন্ধনী পরে মাঠে নামবেন। সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে এখনও অশান্ত বিশ্ব। এই সব কিছুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিশ্বকাপের মঞ্চকেই বেছে নিয়েছিলেন ইতালির যুবক মারিও ফেরি।
গত ২৯ নভেম্বর পর্তুগাল-উরুগুয়ে ম্যাচে নিরাপত্তা ভেদ মাঠে ঢুকে পড়েন মারিও। তাঁর হাতে ছিল একটি রেনবো পতাকা যার মাধ্যমে তিনি সমকামিতাকে সমর্থন জানাতে চেয়েছেন। মারিও-র শার্টের সামনে লেখা ছিল ‘সেভ ইউক্রেন’ এবং পিছনে ইরানি মহিলাদের সম্মান জানানোর বার্তা। তাঁর উদ্দেশ্য ইতিবাচক হলেও খেলার মাঝে মাঠে ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। তাঁকে গ্রেফতার করে কাতারের পুলিশ। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাহায্য়ে ছাড়া পান তিনি। পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে মারিও জানিয়েছেন, কাতারি পুলিশ তাঁর সঙ্গে খুবই ভাল ব্যবহার করেছে। ফেরি আরও বলেন, ‘পুলিশি হেফাজতে যাওয়ার পর আমার সমস্ত বৈধ নথিপত্র পুলিশের কাছে জমা দিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম। তখনই জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সেখানে আসেন এবং ৩০ মিনিটেই তাঁকে সেখান থেকে মুক্ত করেন।’
ইউক্রেনে এক মাস কাটিয়েছেন মারিও। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের যন্ত্রণা সামনে থেকে দেখেছেন। বিশ্বকাপকে প্রতিবাদের মঞ্চও বানিয়ে তাঁর এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন মারিও।





