কলকাতা: লাল-হলুদের চুক্তি বিতর্কের প্রভাব কলকাতা লিগেও। ২৪ আগস্ট, অর্থাত্ মঙ্গলবার ঘরোয়া লিগে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ ছিল ভবানীপুরের সঙ্গে। কিন্তু ইনভেস্টরের সঙ্গে চুক্তি বিতর্কে আরও জট পেকে যাওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়া হল ৩১ আগস্ট, কল্যাণী স্টেডিয়ামে। প্রশ্ন হল, ওই দিনও কি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলা সম্ভব?
কলকাতা লিগ নিয়ে এমনিতেই শুরু থেকেই টানাপোড়েন ছিল ইস্টবেঙ্গলের। সূচি নিয়ে সভায় অন্যান্য ক্লাবগুলো হাজির থাকলেও প্রথম সভায় গরহাজির ছিল ইস্টবেঙ্গল। এমনকি, ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের তরফেও কোনও প্রতিনিধি ছিল না। পরের সভাতে অবশ্য শ্রী সিমেন্টের সিইও শিবাজী সমাদ্দার হাজির ছিলেন। তিনিও অবশ্য ক্লাব বনাম ইনভেস্টরের আভ্যন্তরীন সমস্যার কথাই তুলে ধরেছিলেন। ইস্টবেঙ্গল খেলবে কিনা কলকাতা লিগ, তা নিয়ে কোনও নিশ্চিত কথা শোনাননি তিনি। আইএফএ অবশ্য ইস্টবেঙ্গলকে ধরেই সাজিয়েছিল কলকাতা লিগ। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, ততই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। অন্তত সোমবার বলাই যেতে পারে, বুধবারের আগে এটা বলা সম্ভব নয়, ইস্টবেঙ্গল এ বার কলকাতা লিগ খেলবে কিনা।
সমস্যা এটিকে-মোহনবাগানকে নিয়েও। মোহনবাগানের ২৯ আগস্ট জর্জ টেলিগ্রাফের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে নামার কথা সবুজ-মেরুনের। কিন্তু ক্লাব এখন এএফসি নিয়ে ব্যস্ত। প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের পথ নিশ্চিত করার জন্য মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে নামবে আন্তনিও হাবাসের টিম। যদি সেমিফাইনালে উঠে যায় সবুজ-মেরুন, তা হলে কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচ খেলা নিয়ে তীব্র অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। একই সঙ্গে ক্লাব কর্তারা ঘরোয়া লিগ খেলার ব্যাপারে খুব যে আগ্রহী, তাও নয়। তবে, এ ব্যাপারে তারা এখনই কোনও মন্তব্য নারাজ। টিম যদি এএফসির শেষ চারে পা দেয়, তা হলে হয়তো মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচও পিছিয়ে যাবে।
মোহনবাগানের অনেক বেশি জটিলতা ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে। বুধবার নবান্নতে চুক্তি বিতর্ক মেটানোর জন্য ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ও শ্রী সিমেন্ট প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি ওই দিন সমস্যা মিটেও যায়, তা হলেও কি কলকাতা লিগ খেলতে পারবে লাল-হলুদ? জোরালো প্রশ্ন থাকছে। গত মরসুমেও কোয়েস বনাম ক্লাব নিয়ে নানা জটিলতা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব মিটিয়ে কলকাতা খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদ। তার একটা বড় কারণ ছিল, ইস্টবেঙ্গল দেশিয় ছেলেদের নিয়ে কলকাতা লিগের একটা টিম তৈরি করে রেখেছিল। কিন্তু এ বার তা-ও নেই। বুধবার সমস্যা মিটে গেলেও পাঁচ দিনের মধ্যে ক্লাব টিম বানিয়ে কলকাতা লিগে নেমে পড়বে, অতি বড় সমর্থকরাও এমন ভাবছেন না।
সব মিলিয়ে যা দাঁড়াল, দুই প্রধানের অনিশ্চয়তায় কিছুটা হলেও চাপে কলকাতা লিগ!