মালে: প্রথম ২টো ম্যাচ দেখার পর ধারণাই করা যায়নি ভারত ফাইনালে উঠতে পারে। সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) ম্যাজিকে টানা ২ ম্যাচ জিতে সাফের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ভারত (India)। এ বার নজর ফাইনালে। শনিবার সামনে নেপাল (Nepal)। গ্রুপ পর্বে নেপালকে হারিয়েই অক্সিজেন পেয়েছিলেন সুনীলরা। ফাইনালে প্রতিপক্ষ সেই নেপালই। ভরসা সেই সুনীলই।
মলদ্বীপের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় বেঞ্চে নেই কোচ ইগর স্টিম্যাচ (Igor Stimac)। শুধু কোচই নন, শুভাশিস বসুকেও পাওয়া যাবে না কার্ড সমস্যার জন্য। তিনিও গত ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন। তবে সব কিছু ছাপিয়ে ম্যাচটা হয়ে উঠেছে সুনীল বনাম নেপাল। বাইচুং পরবর্তী জমানায় ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন একার কাঁধে। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। বয়স ৩৭। তবু এখনও দল বিপদে পড়লে উদ্ধারকার্যের ভূমিকায় সেই সুনীলই। ইগর স্টিম্যাচের কোচিং আতসকাঁচের তলায়। ভারতীয় ফুটবল দলের পারফরম্যান্সের সমালোচনায় বিশেষজ্ঞরা। সুনীল নির্ভরতা ছেড়ে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি ব্লু টাইগার্স। নেপালের বিরুদ্ধে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামার আগে ভারতের আশা ভরসা ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী।
সাফেই ৭৯ গোল করে পেলেকে টপকে গিয়েছেন। ফাইনালে গোল করলে ছুঁয়ে ফেলবেন লিওনেল মেসিকে। আর গোলসংখ্যা একের বেশি হলে টপকে যাবেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে। ৩৭-এও গোলের খিদে কমেনি সুনীলের। ২০২৩ সালে চিনে এশিয়ান কাপে খেলাই পাখির চোখে ভারত অধিনায়কের। অবসরের সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে সুনীল বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের জন্য সুনীল ছেত্রী কোথাও যাচ্ছে না। প্রাথমিক লক্ষ্যই দলকে এশিয়ান কাপের টিকিট এনে দেওয়া। এই টুর্নামেন্টটা আমার হৃদয়ের। আমি জানি, আমাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেশবাসীকে মোটেও আশা দেখাচ্ছে না। কিন্তু এ বারই আমাদের জ্বলে ওঠার পালা। এশিয়ান কাপে আমাদের কোয়ালিফাই করতেই হবে। একই সঙ্গে এশিয়াতে নিজেদের কর্তৃত্বও দেখাতে হবে।’
গোল স্কোরিং নিয়ে অনেকেই সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে মেসি আর রোনাল্ডোকে তুলনা টানেন। তবে এই তুলনা মোটেই পছন্দ নয় সুনীলের। তিনি বলেন, ‘আমি আমার দেশের হয়ে খেলি। এতেই সন্তুষ্ট। সমর্থকদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করি। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত এ ভাবেই খেলে যাব। এর থেকে বেশি আর কিছু চাই না। কে কি বলল, তা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।’
সুনীল পরবর্তী জমানায় কে ভারতের ব্যাটন ধরবে? কেই বা জাতীয় দলের হয়ে ভুরি ভুরি গোল করবে? সুনীল বলেন, ‘মনবীর সিং অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার। ওর মধ্যে গোলের খিদেও রয়েছে। ফিজিক্যালই ও খুব শক্তিশালী। ওর খেলায় বৈচিত্র্যও আছে। এটিকে মোহনবাগানের হয়েও ভালো খেলে ও। ওখানে অন্য পজিশনে খেলতে হয়। তাতেও কোনও অসুবিধে হয় না।’ শুধু মনবীর সিংই নন। একই সঙ্গে বাংলার রহিম আলি, অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসো আর রাহুল কেপির প্রশংসাও শোনা যায় সুনীলের গলায়।
আরও পড়ুন: Sunil Chhetri: গোল করে ভারতকে সাফের ফাইনালে তুললেন সুনীল