কলকাতা: ময়দানে কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। একদা মোহনবাগানের সচিব প্রয়াত অঞ্জন মিত্রর এই মন্তব্য ময়দানে মিথ হয়ে গিয়েছিল। ১১ জুলাই থেকে ১৩ অগাস্ট। কত কিই না ঘটে গেল ময়দানে। দলবদলের বাজার সরগরম হয়ে উঠল একজন ফুটবলারকে নিয়েই। তিনি আনোয়ার আলি। এই কর্পোরেট, সিআরএসের যুগেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব থেকে ফুটবলার ছিনিয়ে এনে দলবদলের বাজারে নতুন মিথ তৈরি করে ফেললেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এই এক মাস আনোয়ারকে কেন্দ্র করে কত কিই না ঘটে গিয়েছে। পঞ্জাব তনয়কে অনুশীলনে ডেকে, ডুরান্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশনও করিয়ে ফেলেছিল মোহনবাগান। অথচ কোথায় কি! আনোয়ার এখন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার। শর্তসাপেক্ষে আনোয়ারকে মোহনবাগান ছেড়ে অন্য ক্লাবে সই করতে এনওসি দিয়েছে ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটি। ২২ তারিখ আর এক দফা শুনানি। আনোয়ার আর ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রের সইয়ের যে বিষয়টা এতদিন চাপা ছিল, এ দিনের পর সব পরিষ্কার। লাল-হলুদে ৫ বছরের চুক্তিপত্রে সই করে ফেললেন আনোয়ার আলি। রবিবারের ডার্বির আগে মাঠের বাইরে ডার্বিতে এখন ১-০ এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল।
মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্পোর্টস ডে। একদা লাল-হলুদের সর্বময় কর্তা প্রয়াত পল্টু দাসের জন্মদিবসে বিশেষ ভাবে পালিত হয় এই দিনটি। মঞ্চে উঠেই লাল-হলুদ জার্সি গায়ে গলিয়ে নিলেন আনোয়ার। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলে দিলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগানের সমর্থকদের মধ্যে অনেক ফারাক। এই দু’দিনে আমাকে যা ভালোবাসা দিয়েছে মনে হচ্ছে এই ক্লাবের সঙ্গে অনেকদিন ধরে জড়িয়ে।আমাকে আপন করে নিয়েছে।’ সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র। ১৮ তারিখের ডার্বি প্রসঙ্গ উঠতেই আনোয়ারের গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। বলে দিলেন, ‘ম্যাচ জিতেই যাবতীয় জবাব দিতে চাই।’
আনোয়ার আলিকে কম টানাপড়েন হয়নি। ২২ তারিখ ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির শুনানিতে কি রায় বেরোবে তাও কেউ ঠাওর করতে পারছে না। তবে রবিবার ডুরান্ডের ডার্বি জমে গেল। বিশেষ করে আনোয়ার আলি ইস্যুতে। পরশু থেকেই হয়তো ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে নেমে পড়বেন ভারতের তারকা ডিফেন্ডার। হেক্টর ইউস্তে তার আগে শহরে এসে গেলে রক্ষণ আরও মজবুত হয়ে যাবে। আনোয়ার হাতছাড়া হওয়ার পর এবার মাঠে রবির ডার্বিতে জবাব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ মোহনবাগানের।