ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কার্যত প্রতি ম্যাচেই রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ দেখা যায়। শনিবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল বনাম মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কলকাতা মিনি ডার্বিতেও রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ সামনে এসেছে। ইস্টবেঙ্গল ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এমনই অভিযোগ। এমনকি ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দাবি করেছেন, লাল-হলুদকে নিয়ে চক্রান্ত হচ্ছে বলেই তাঁর ধারনা। এটা শুধু এক ম্যাচের কাহিনি নয়। আইএসএলের নানা ম্যাচেই রেফারিং নিয়ে অভিযোগ ওঠে। যে কারণে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে ফেডারেশন সভাপতি রেফারিদের ‘বার্তা’ও দিয়েছিলেন। তবে ফেডারেশনের মুখ্য রেফারি আধিকারিক ট্রেভর কেটল অবশ্য দাবি করছেন, ভারতীয় ফুটবলে রেফারিংয়ের মান ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। আর কী বলছেন?
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে বিভিন্ন ক্লাবের কোচ, ফুটবলার, কর্তারা বারবার রেফারিং নিয়ে অভিযোগ তুলে আসছেন। এরই মাঝে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের রেফারিদের মুখ্য আধিকারিকের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। শনিবার ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান ম্যাচেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। ৩০ মিনিটের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলে দুটো রেড কার্ড। একটির ক্ষেত্রে হয়তো সতর্ক করা যেত। সঙ্গে আরও একটি বিষয় রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলকে একটি পেনাল্টির বদলে বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক দেওয়া হয়। রেফারির মনে হয়েছিল, ফাউলের প্রথম কনট্যাক্ট বক্সের বাইরেই হয়েছে। রিপ্লেতে পরিষ্কার ধরা পড়েছে, বক্সেই ফাউল হয়েছিল। শুধু এই ম্যাচেই নয়। ক’দিন আগে কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচেও এমন কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেখা গিয়েছে।
দেশের ফুটবলে প্রধান টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। সেখানেই যদি রেফারিং নিয়ে এত অভিযোগ থাকে, তা যে চিন্তার বিষয়, বলাই যায়। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ট্রেভর কেটল বলেন, ‘অনেক দিক থেকেই ভারতীয় ফুটবলে রেফারিংয়ের মান উন্নত হচ্ছে। বিশেষ করে, রেফারিরা এখন কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। খেলার গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে রেফারিদের ফিটনেসে উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের কড়া হাতে শাসন করে খেলার গতি বজায় রাখছে। ভিএআর এলে আরও উন্নতি হবে।’
কোচিতে কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচের রেফারিং প্রশ্নে কেটল বলেন, ‘প্রত্যেক রেফারির ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, রেফারি পরিদর্শকের রিপোর্ট দেখা হচ্ছে। কিছুক্ষেত্রে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।’