ইন্ডিয়ান সুপার লিগে টানা ছয় ম্যাচ হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। এরপর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে যায় তারা। গ্রুপের প্রথম ম্যাচ ড্র করলেও পরপর জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ফিরে ভালো শুরুর প্রত্যাশা ছিল। কলকাতা মিনি ডার্বিতে গোলশূন্য ড্র, এক পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। রেফারিং নিয়ে যেমন অসন্তোষ, তেমনই প্লেয়ারের শৃঙ্খলাতেও ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। অন্য দিকে, ইস্টবেঙ্গল কর্তা আইএসলে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন। কী বলছেন তাঁরা?
মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে একটি পেনাল্টি দেওয়া হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। রেফারি হরিশ কুন্ডু মনে করেছিলেন, ফাউলের প্রথম কন্ট্যাক্ট বক্সের বাইরে হয়েছে। যদিও রিপ্লেতে পরিষ্কার ধরা পড়েছে, বক্সের মধ্যেই ফাউলটি হয়েছিল। অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ম্যাচের ২৮ ও ২৯ মিনিটে তাঁর দুটি সিদ্ধান্ত। বল দখলের লড়াইয়ে টার্ন নিতেই অমরজিতের মুখে মারেন নন্দকুমার। তাঁকে সরাসরি রেড কার্ড দেন। অন্য দিকে, রেফারির সঙ্গে বিবাদে জড়ানোয় দ্বিতীয় হলুদ তথা রেড কার্ড দেখানো হয় নাওরেম মহেশকে।
ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ পরিষ্কার বলেন, ‘এএফসির টুর্নামেন্টে এবং আইএসএলে যে আমাদের জন্য আলাদা ক্রাইটেরিয়া রয়েছে। শুধু পেনাল্টিই নয়, বেশ কিছু সিদ্ধান্তই আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে।’ রেফারিং নিয়ে অসন্তোষের পাশাপাশি মহেশের উপরও ক্ষোভপ্রকাশ ইস্টবেঙ্গল কোচের। দল যখন বিপদে, নিজে একটি কার্ড দেখে রয়েছেন, সে সময় মহেশের সংযত থাকা উচিত ছিল বলেই মনে করেন অস্কার। ড্রেসিংরুমে শৃঙ্খলাভঙ্গ নিয়ে মহেশের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। ৯ জনে মিলে যে ভাবে মহমেডানকে আটকে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল, প্লেয়ারদের প্রশংসা করতেও ভোলেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ।
ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার রেফারিং নিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘এটা রেফারির জয়। ম্যান অব দ্য ম্যাচ রেফারি। ইস্টবেঙ্গলকে সুপার সিক্সে যেতে না দেওয়ার একটা পরিকল্পনা চলছে বলে আমার ধারনা। এই ষড়যন্ত্র চলছে বলে আমার ধারনা। প্রত্যেকটা ম্যাচেই আমরা বঞ্চিত হয়েছি। রেফারিং ঠিক হলে আমাদের টিম ভালো খেলে, এএফসিই তার প্রমাণ।’