কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল শিবির যেন মিনি হাসপাতাল। খারাপ সময় কাটিয়ে ধীরে ধীরে কামব্যাক করতে শুরু করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না অস্কার ব্রুজোর দলের। নর্থইস্ট এবং চেন্নাইয়িন এফসিকে হারিয়ে লিগ টেবলের শেষ স্থান থেকে উপরে উঠেছে মশাল বাহিনী। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসির মুখোমুখি হবে লাল-হলুদ। হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল শিবির যেন মিনি হাসপাতাল। চোটের কারণে প্রথম একাদশের একাধিক ফুটবলারকে মাঠের বাইরে রেখে দল সাজাতে হবে অস্কার ব্রুজোকে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সমর্থকদের গর্জন চাইছেন তালালদের হেডস্যার। টুয়েলভথ ম্যানে ভর করেই কঠিন ম্যাচ জিততে চায় ইস্টবেঙ্গল।
চোটের জন্য ওড়িশা ম্যাচে নেই দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোস। কার্ড সমস্যার পাশাপাশি চোটের কারণে বেশ কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে সাউল ক্রেসপো। চোট রয়েছে হেক্টর ইউস্তের। ১৮ জনের দলে তাঁকে রাখার কথা ভাবলেও প্রথম একাদশে অনিশ্চিত। চোট পেয়েছেন প্রভাত লাকরা। এমনকি নন্দ কুমারকেও এদিনের অনুশীলনে বেশিরভাগ সময় দেখা গেল সাইডলাইনে। ওড়িশার রয় কৃষ্ণা চোটের কারণে মরসুম থেকে ছিটকে গেলেও, মোর্তাদা ফল, আহমেদ জাহু, হুগো বোমাস, দিয়েগো মরিসিওর মতো ফুটবলাররা আছেন। ওড়িশার দলকে আগে থেকেই চেনেন ব্রুজো। বসুন্ধরা কিংসের কোচ থাকাকালীন এই মৌর্তাদা ফলদের কাছেই এএফসিতে হারতে হয়েছিল। সের্জিও লোবেরার দলের বিরুদ্ধে এবার মাঠে নামার আগে অস্কার ব্রুজোর আস্তিনে লুকনো তাস খুবই কম।
বেশিরভাগ ফুটবলারকে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে না পাওয়া গেলেও অজুহাত দিতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল কোচ। অস্কার ব্রুজো বলছেন, ‘আমি অজুহাত দিতে চাইনা। মাঠে খেলা হবে এগারো বনাম এগারো। যারা প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাবে তাদের প্রমাণ করতে হবে। তাই মাঠে নামার আগে অযথা ভয় পেতে চাই না।’
ওড়িশা চ্যালেঞ্জ সামলানোর আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ মনে করছেন সমর্থকরাই হতে পারেন এই ম্যাচের ইউএসপি। অস্কার বললেন, ‘আমরা পরপর দুটো ম্যাচ জিতেছি। আগের অবস্থায় এখন নেই। আমরা হোম ম্যাচ খেলতে নামব। দলের বেশ কয়েকজন নিয়মিত ফুটবলারকে না পাওয়া গেলেও, সমর্থকরাই পারেন এই ম্যাচ জেতাতে। আমি চাইব তারা মাঠে এসে আমাদের জন্য গলা ফাটাক।’