মানোলো মার্কোয়েজ। কার্লোস কুয়াদ্রাত। দুই হাই প্রোফাইল কোচ। দু-জনই স্প্যানিশ। ঐতিহ্যশালী ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। গত মরসুমে উত্তরণের ইঙ্গিত ছিল। ডুরান্ড কাপে রানার্স, কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন। দীর্ঘ ১২ বছর পর জাতীয় স্তরের ট্রফি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও আগের মরসুমের তুলনায় অনেক অনেক ভালো পারফর্ম করেছে। কিন্তু এ মরসুমে কোনও কিছুই ঠিক যাচ্ছে না। ‘প্রফেসর’ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
টানা দুটি হার দিয়ে আইএসএল মরসুম শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম দুটিই ছিল অ্যাওয়ে ম্যাচে। এ বার ঘরের মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারি পাশে থাকায় প্লেয়াররা বাড়তি তাগিদ নিয়ে খেলবেন, এমনটাই বিশ্বাস কোচ কার্লেসের। কিন্তু তাঁর কম্বিনেশন বাছাই থেকে পরিবর্তন, সবই অস্বস্তি তৈরি করেছে। এই ম্যাচে ফল ভালো না হলে তাঁকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পারে ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট।
এফসি গোয়ার মরসুমও শুরু হয়েছে হার দিয়ে। তাও আবার ঘরের মাঠে। গত ম্যাচেও মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েছিল এফসি গোয়া। ইনজুরি টাইমের গোলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। তবে মানোলো মার্কোয়েজকে নিয়ে নানা অস্বস্তি কাজ করছে। তিনি যেমন এফসি গোয়ার কোচ, তেমনই ভারতীয় দলেরও। দ্বৈত ভূমিকায় মানিয়ে নিতে তাঁর যে সময় লাগছে পরিষ্কার। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে মরিসাসের বিরুদ্ধে মানোলো অধ্যায় শুরু হয়েছিল। এরপর সিরিয়ার কাছে হার। ক্লাব ফুটবলেও মানোলোর পারফরম্যান্স অস্বস্তির।
ইস্টবেঙ্গল শিবিরে নজর আনোয়ার আলির দিকেও। কেরালার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে অবশেষে অভিষেক হয়েছে আনোয়ার আলির। গোয়া ম্যাচের আগে যুবভারতীতে তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। জার্সি-বদলের পর যুবভারতীতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেন আনোয়ার। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুধুই ইস্টবেঙ্গল বনাম এফসি গোয়া ম্যাচ নয়, বরং বলা যায় দুই খাদের কিনারায় থাকা স্প্যানিশ কোচের মস্তিষ্কেরও লড়াই। দু-জনেরই অগ্নিপরীক্ষা। কে পাশ করবেন! তা সময়ই বলবে।