কলকাতা: আনোয়ার আলি লাইমলাইট থেকে সরছেনই না। ময়দানের হট টপিক তিনি। আনোয়ার ইস্যুর জল দিল্লি আদালত অবধি গড়ায়। এরই মাঝে পিছিয়ে গেল আনোয়ার মামলার শুনানি। ৩০ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে এ বার ১৪ অক্টোবর প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটিতে হবে আনোয়ার মামলার শুনানি। হঠাৎ কেন ২ সপ্তাহ পিছিয়ে গেল শুনানি? আসলে আনোয়ার আলির (Anwar Ali) আইনজীবীর পিঠের অস্ত্রোপচার হবে। সেই জন্য তিনি ফেডারেশনের কো অর্ডিনেটর মিহির খেরুদকে চিঠি দিয়েছেন।
গত কয়েক মাস ধরে আনোয়ারকে নিয়ে আলোচনা চলছেই। মোহনবাগানে বছর চারেকের লোন চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করেন ভারতীয় দলের তারকা ডিফেন্ডার। এরপর থেকেই শুরু হয় জট। এ বার সেই মামলার শুনানির পথেও বাধা। আপাতত আনোয়ারের আইনজীবী ফেডারেশনের কো অর্ডিনেটর মিহির খেরুদকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ৮ অক্টোবর তাঁর পিঠের অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। ৪ সপ্তাহের বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক। তাই নভেম্বরে আনোয়ার মামলার শুনানির আর্জি জানান।
ফেডারেশনের তরফ থেকে ১৪ অক্টোবর বিকেল ৫টায় শুনানির দিন ধার্য করা হয়। এই তারিখ যে অপরিবর্তিত থাকবে তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ফেডারেশন। এরপর কোনও ভাবে আনোয়ার আলির বর্তমান আইনজীবী শুনানিতে হাজির থাকতে না পারলে, বিকল্প আইনজীবীর আয়োজন করতে হবে তারকা ফুটবলারকে।
এ বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি আনোয়ার ইস্যুতে তোলপাড় হয় ভারতীয় ফুটবল মহল। এই ট্রান্সফার লড়াই নিয়ে ভবিষ্যতেও বার বার আলোচনা হবে। আনোয়ারকে ইস্ট-মোহনের দড়ি টানাটানি যে এই আকার নেবে, তা হয়তো ফুটবল প্রেমীরা ভাবতেও পারেননি। এ বছরের অগস্টের শুরুতে প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটি আনোয়ারকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য মোহনবাগানকে নির্দেশ দেয়। আর মোহনবাগানের ছাড়পত্র পেয়েই ইস্টবেঙ্গলে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ বছরের চুক্তিতে সই করেন আনোয়ার।
ঘটনাক্রম এখানেই শেষ নয়। সেপ্টেম্বরে ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির পরবর্তী সিদ্ধান্ত রীতিমতো চাপে ফেলে দেয় আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল আর দিল্লি এফসিকে। ফেডারেশন তো আনোয়ারকে ৪ মাস নির্বাসিতও করে। ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসিকে ২ উইন্ডো ট্রান্সফার ব্যান করা হয়। এরপর ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি এফসি এবং আনোয়ার আলি। সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। এ বার দেখার পরবর্তী শুনানির দিন কী হয়।