ইন্ডিয়ান সুপার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিকের পর একটা ড্র। দীর্ঘ বিরতির আগে সেই ড্র যেন অনেক বড় বার্তা দিয়েছিল মোহনবাগান শিবিরে। কোথাও ছন্দে ভুল হচ্ছে না তো! ওড়িশার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের আগে মোহনবাগান কোচ মোলিনা জানিয়েছিলেন, তিন পয়েন্ট নিয়ে ছুটি কাটাতে চান। সেই ম্যাচে তিন পয়েন্ট না এলেও মাঝের সময়টাতে ভাবার সময় পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি ছিল। মোহনবাগানের বেশ কয়েকজন জাতীয় দলে ছিলেন। বাকিদের নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি রাখছিলেন। জাতীয় দলের প্লেয়াররা যোগ দিতেই পরিকল্পনা আরও ভালো করে গড়া হয়। যার ফল, জয়ে ফেরা। বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে গোল পার্থক্যে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থানেও উঠল মোহনবাগান।
ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ক্লিনশিট। ৩-০ ব্যবধানে জয়। সবচেয়ে বড় স্বস্তি টম অ্যালড্রেড ও লিস্টন কোলাসোর গোল। ম্যাচের ১৫ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন টম। দিমি পেত্রাতোসের কর্নার থেকে বল পান দীপক টাঙরি। তাঁর শট ডিফেন্সের জঙ্গল থেকে আলবার্তোর হেড। বল শূন্যে থাকা অবস্থায় টম আলড্রেডের শট। ভলিতে গোল অ্যালড্রেডের। আইএসএলে তাঁর প্রথম। তেমনই প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে লিড ২-০ করেন লিস্টন কোলাসো। এ মরসুমে দুর্দান্ত খেললেও গোল পাচ্ছিলেন না। ২৮ শটের পর অবশেষে এ মরসুমে স্বস্তির প্রথম গোল। প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে একাধিক প্লেয়ারকে কাটিয়ে গোল লিস্টনের।
জোড়া গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা সতর্ক ফুটবল। সবে আলোচনা শুরু হয়েছিল, প্রথমার্ধে ১৪টি শট নিয়েছিল মোহনবাগান, তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুটি! এর মধ্যেই স্কোর লাইন ৩-০। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মনবীরের মাইনাসে জেমি ম্যাকলারেনের গোল। মোহনবাগান জার্সিতে তাঁর তৃতীয়। জামশেদপুর গোলকিপার অ্যালবিনো গোমেজ এগিয়ে এসেছিলেন মনবীরের দিকে। তাঁকে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। মনবীর চাইলে নিজেও গোল করতে পারতেন। তবে তাঁর চেয়ে আরও ভালো পজিশনে থাকা ম্যাকলারেনকে মাইনাস করেন। সেখান থেকে ৩-০ করতে কোনও সমস্যাই হয়নি।