মুম্বই: দুটি ফিফা বিশ্বকাপ খেলেছে ভারত। তবে সেটা জুনিয়র স্তরে। সিনিয়র স্তরে কি ভারত কখনও বিশ্বকাপ খেলতে পারবে? বর্তমানে কল্পনা মনে হলেও ভবিষ্যতে তা হতেই পারে। সেই স্বপ্ন দেখছে মহারাষ্ট্র সরকার। সঙ্গী টিভি নাইন নেটওয়ার্কও। মুম্বইতে অনুষ্ঠিত হল ‘মহারাষ্ট্রাচা মহাসঙ্কল্প’ মিশন বিশ্বকাপ কনক্লেভ। টিভি নাইন মারাঠি এই বিশ্বকাপ কনক্লেভের আয়োজন করে। মহারাষ্ট্র সরকার এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। মিশন বিশ্বকাপের অংশ হিসেবেই ইউরোপ তথা জার্মানির অন্যতম সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। সঙ্গী টিভি নাইন নেটওয়ার্ক। কনক্লেভের বিষয়ে বিস্তারিত জানুন TV9Bangla-য়।
‘মহারাষ্ট্রাচা মহাসঙ্কল্প’। মহারাষ্ট্র সরকারের এই পরিকল্পনায় রয়েছে ফুটবল পরিকাঠামোর পাশাপাশি সবরকম উন্নতি। বিশ্বকাপকে ঘিরে ভারতীয় ফুটবলের যে রূপরেখা তারই অংশ হিসেবে বিশ্বের অন্য়তম সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ফুটবল সম্পর্কিত নানা বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদান, ফুটবল দর্শন নিয়ে আলোচনা, সবই হচ্ছে।
বায়ার্ন মিউনিখের ইয়ুথ প্রোগ্রাম ‘মিয়া সান মিয়া’ দর্শন ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বজুড়েই। ভারতীয় ফুটবলেও এই দর্শন আমদানী হয়েছে। বায়ার্ন ও মহারাষ্ট্র সরকারের যৌথ উদ্য়োগে অনুশীলন এবং ফুটবল থিওরির ক্ষেত্রেও আধুনিকীকরণ হচ্ছে। এই কনক্লেভের মূল আকর্ষণ ছিল, ২০ জন খুদে ফুটবলারকে সংবর্ধিত করেন মহারাষ্ট্রর ক্রীড়ামন্ত্রী গিরিশ মহাজন। এই ফুটবলাররা মহারাষ্ট্র সরকার এবং বায়ার্ন মিউনিখের যৌথ উদ্যোগের কারণেই, জার্মানিতে বায়ার্নের ফুটবল পরিকাঠামোয় অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছেন। মহারাষ্ট্র কাপে পারফরম্য়ান্স দেখে বেছে নেওয়া হয় এই ফুটবলারদের।
কনক্লেভে মহারাষ্ট্রর ক্রীড়ামন্ত্রী গিরিশ মহাজন বলেন, ‘বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবকে বেছে নেওয়া হয়েছে যাতে আমাদের খুদে ফুটবলার এবং কোচেরা আধুনিক ফুটবল সম্পর্কে শেখার সুযোগ পায়। মহারাষ্ট্র সরকারের লক্ষ্য, খেলার দিক থেকে এক নম্বর হওয়া। অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমসের মতো আন্তর্জাতিক স্তরে এখানকার অ্যাথলিটরা যাতে সাফল্য় পায় সে দিকেও নজর থাকবে।’
কনক্লেভে টিভি নাইন নেটওয়ার্কের এমডি ও সিইও বরুণ দাস বলেন, ‘ভারতবর্ষ সব দিক থেকেই বিশ্বের অন্য়তম সেরা হয়ে উঠছে। ভূ-অর্থনীতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করছে। অস্কারের মঞ্চেও দাপট দেখিয়েছে। আমি নিশ্চিত, বিশ্ব ক্রীড়ায় যেমন ফুটবল বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিকের মঞ্চেও ভারতের দাপট শুধু সময়ের অপেক্ষা।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভারতের বিশ্বকাপ স্বপ্নের এই সফরে মহারাষ্ট্র সরকার এবং বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গী হয়েছে টিভি নাইন নেটওয়ার্ক। একটা গর্বের সাক্ষী থাকতে চাই আমরাও।’
কনক্লেভে আরও যে বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা হলেন-রঞ্জিৎ সিং দেওল (মহারাষ্ট্র স্কুল এডুকেশন এবং ক্রীড়াদপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি), সুহাস দিবাসে (ক্রীড়া এবং যুব দপ্তরের কমিশনার), জার্মান দূতাবাসের প্রতিনিধি কিম উথ।
ইভেন্টে ২০ জন তরুণ ফুটবলারকে সংবর্ধিত করা হয়। তাঁরা হলেন– আদিত্য পবন গুপ্ত, মহম্মদ রিজওয়ানউদ্দিন জাইনুলাবেদিন, সম্রাট ক্রুশনত মোরবলে, নেথান ডলফি ভেজ, আদিত্য মাধব লেকামি, রায়ান রোনাল্ড পেরেরা, স্বরাজ মহেশ সাওয়ান্ত, যুবরাজ সন্দীপ কদম, কইরকপম নিবাশ সিং, যুগ সন্তোষ জিনে, রাঘব পঞ্কজ কানোদিয়া, বেদ প্রকাশ প্য়াটেল, সর্বেশ নীতীন যাদব, রাজবীর সুজিত গুরভ, পার্থ বিজয় তালকোকুল, ধ্রুব সন্দীপ গানোরে, সচিন যোগেশ সন্নিস, সৌরজিৎ সারাং পাটিল, শিবম অভিষেক কুমার সিং, রিও জয়দীপ পানে।