কলকাতা: ড্র দিয়ে এ বারের আইএসএল শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। পরের ম্যাচে অনবদ্য জয়। মরসুমের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও নিজেদের একাধিক সুযোগ নষ্ট এবং রেফারির ভুলে খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয়। দীর্ঘ বিরতির পর আইএসএলে নামল ইস্টবেঙ্গল। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হোম ম্যাচ খেলল লাল হলুদ। বিরতি থেকে ফিরেও হার। এত দিনের বিরতিই কি ছন্দপতনের কারণ? হতেও পারে। তবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে রক্ষণের ভুলও হারের অন্যতম কারণ ইস্টবেঙ্গলের। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সপ্তমীর সন্ধ্যা। উৎসবের মরসুমে পুলিশ পাওয়া নিয়ে সমস্যা ছিল। সে কারণেই ভুবনেশ্বরে হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নাওরেম মহেশের গোলে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। তার আগে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট হয়। সাউল ক্রেসপো সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। শেষ অবধি নন্দ কুমারের পাস থেকে নাওরেম মহেশের গোল। ১-০ লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গণ্ডগোল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয় এফসি গোয়া। সমতা ফেরানোর গোল করেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। সেট পিস থেকে এই গোলে দায় রয়েছে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভাগেরও। ডিফেন্সে বারবার পরিবর্তনই কি সমস্যা তৈরি করছে? হোম ম্যাচে অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়েও ফিরতে পারত ইস্টবেঙ্গল। এক মিনিটের ব্যবধানে ফের গোল। এফসি গোয়ার হয়ে জয়সূচক গোল ভিক্টর রডরিগেজের। নোয়ার চোট থাকায় সুযোগ পেয়েছিলেন ভিক্টর। এফসি গোয়ার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন।
ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ভুল থেকে আমাদের দ্রুত শিখতে হবে।’ আর ডিফেন্সে বারবার পরিবর্তন! কার্লেস জানালেন, তিনি বাধ্য হচ্ছেন পরিবর্তনে। জয়ের হ্যাটট্রিকে মোহনবাগানের সঙ্গে সমান পয়েন্ট এফসি গোয়ার। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে সবুজ মেরুন।