প্রান্তিক দেব
এএফসি কাপের (AFC Cup) ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে (semifinal) আজ উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফের (FC Nasaf) বিরুদ্ধে ম্যাচ এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)। ১৯৯৭ সালে জন্ম এই ক্লাব এশিয়ান ফুটবলে ড্রাগন নামে পরিচিত। ২০১১ সালে আল কুয়েতকে হারিয়ে এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। ওই বছরই একমাত্র ভারতীয় ক্লাব হিসেবে ডেম্পোর (Dempo) বিরুদ্ধে খেলেছে নাসাফ। র্যান্টি মার্টিনস, বেটোদের দুরন্ত ডেম্পোকে দুই লেগ মিলিয়ে ১৩ গোল দিয়েছিল নাসাফ। ঘরের মাঠে ৯-০ এবং পুনেতে ৪-০। ২০১১ সালের পর ২০২১। ১০ বছর পর আবার এএফসি কাপের লড়াইয়ে উজবেকিস্তানের ক্লাব।
এ তো গেল ইতিহাসের কথা। বর্তমান কেমন? দিন বদল হলেও আক্রমনাত্মক ফুটবলের ধারাটা এখনও বজায় রেখেছে ড্রাগনরা। উজবেকিস্তানের লিগে ১৮ ম্যাচে ২৭টি গোল করেছে তারা। উইং প্লে দিয়ে প্রতিপক্ষকে মাত দেওয়ার পরিকল্পনা সাজায় নাসাফ। তাদের কোচ রাজিকুল বার্ডিভ ক্লাবের লেজেন্ড। প্লেয়ার ও কোচ মিলিয়ে ২৪ বছরের সম্পর্ক। ৪-২-৩-১ ছকে খেলতে পছন্দ করেন তিনি।
কার্শিতে (Qarshi) সেমিফাইনালে আবার দেখা হচ্ছে দুই বন্ধুর। এটিকে মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণা (Roy Krishna) ও নাসাফের সার্বিয়ান তারকা অ্যান্ড্ররিজার। দু’জনে এক সময় খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন ফিনিক্সে। ফিজি ও সার্বিয়ান জুটি সেবার ফুল ফুটিয়েছিল এ লিগে। এত বছর পর আবার রয় কৃষ্ণার সামনে তিনি। বিশ্বাস হচ্ছে না অ্যান্ড্রিজার। বলেছেন,”এটা সত্যিই ভাবা যায় না। ও ফিজির, আমি সার্বিয়ার। দূরত্বটা অনেক। একসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের ক্লাবে খেলেছি। চার বছর পর আবার দেখা হচ্ছে। ও এখন ভারতের ক্লাবে খেলে, আমি উজবেকিস্তানের ক্লাবে। সত্যিই অবাক লাগে। ওর সঙ্গে দেখা হবে, গল্প হবে। ও খুব ভালো ফুটবলার। ফিনিক্সের হয়ে ও রাইট উইংয়ে খেলত আমি স্ট্রাইকার। ওর পাস থেকে একাধিক গোল করেছি। আমি যাদের সঙ্গে খেলেছে তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি গতি ছিল কৃষ্ণার।”
বন্ধুত্ব থাকবে আজ। বরং মোহনবাগানের মাথায় ঘুরবে ১০ বছর আগের ইতিহাস। ডেম্পোর অতীত পাল্টে দিয়ে ড্রাগনের মুখ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে আনার স্বপ্ন দেখছেন অ্যান্ড্ররিজার বন্ধু রয় কৃষ্ণা।
আরও পড়ুন: AFC Cup 2021: ইতিহাসের সামনে প্রীতমরা, দলের শক্তিতে আস্থা হাবাসের