দোহা: লুসেইল স্টেডিয়ামে আর কিছুক্ষণ পর শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) মেগা ফাইনাল। মুখোমুখি লিওনেল মেসির (Lionel Messi) আর্জেন্টিনা (Argentina) ও হুগো লরিসের ফ্রান্স (France)। দিয়েগো মারাদোনা শেষ বার আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ১৯৮৬ সালে। এর পর দীর্ঘ ৩৬ বছর আর বিশ্বকাপের স্বাদ পায়নি লা আলবিসেলেস্তেরা। মেসির মতো তারকা ফুটবলারের এই নজরকাড়া সাফল্যের পিছনে পুষ্টিকর খাবারের অবদান তো রয়েছেই। তাঁর ডায়েট নিয়ে সকলের কৌতূহলের শেষ নেই। TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে জেনে নিন কী কী থাকে লা পুলগার ডায়েটে…
১) স্বাস্থ্যকর খাবারের দৌলতে ক্রীড়াবিদরা সুস্থ থাকেন। নিজেদের উজাড় করে দিতে পারেন খেলার মাঠে। লিওনেল মেসি ৩৫ বছর বয়সেও অসম্ভব ফিট। কড়া ডায়েটে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক থাকেন বটে। কিন্তু তিনি অসম্ভব ফুডি। সুযোগ পেলেই হেঁশেলে হাজির হয়ে যান।
২) কাতার বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচেই চমক দেখাচ্ছেন মেসি। এখনও অবধি মেসি এ বারের বিশ্বকাপে ৫টি গোল করেছেন। আজ ফাইনালে মেসির বাঁ পায়ের ম্যাজিক দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। চলতি বিশ্বকাপে কোন ডায়েট মেনে চলছেন মেসি। তা নিয়েও আগ্রহ কম নেই লিও প্রেমীদের। লাজুক মেসি কথা বলতে পছন্দ করেন না ঠিকই। কিন্তু সময়, সুযোগ একসঙ্গে দুটো পেয়ে গেলে রান্নাঘরে ঢুঁ মারতে ভোলেন না মেসি। প্যান ফ্রাই স্টেক, আলুভাজা ভীষণ পছন্দ মেসির।
৩) কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জন্য মজুত রাখা হয়েছিল প্রচুর মাংস। আর্জেন্টিনার এক বিখ্যাত খাবার হল আসাদো। রোস্ট করা মাংসের এক পদ এটি। লাতিন আমেরিকার দেশ, আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের জন্য এই খাবারটি নিয়মিত বানানো হত। জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন মেসিও নিজের ডায়েটে এই খাবার রাখতেন।
৪) কয়েক বছর আগে মেসি জানিয়েছিলেন, তিনি ভালো রান্না করতে পারেন। যদিও তিনি বেশি রান্না করতে পারেন না। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আসাদো বানাতে জানেন না। মায়ের হাতের বানানো ‘মিলানেসা’ মেসির খুব পছন্দের একটি খাবার। মিলানেসা ব্রেডেড বিফ কাটলেট নামেও পরিচিত। মাঝে মধ্যেই এই পদটিও থাকে মেসির ডায়েটে।
৫) গত ১৫ বছর ধরে ফুটবল বিশ্বে রীতিমতো শাসন করার জন্য একটি নিখুঁত ডায়েট অনুসরণ করে চলেছেন মেসি। লিওর ডায়েট বিশেষ জায়গায় রয়েছে জল। মেসি স্বাস্থ্যকর থাকার জন্য প্রচুর পরিমানে জল পান করেন। অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার, শাক সবজি এবং তাজা ফল ডায়েটে রাখেন মেসি। রুটিজাতীয় খাবারও খান তিনি। বর্তমানে রেড মিট খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন মেসি। কারণ, রেড মিট হজম করা কঠিন। চিনি, লবণ কম ব্যবহার করা খাবার খান লিও।