রিয়াল মাদ্রিদ ৩ : পিএসজি ১
(বেঞ্জেমা ৬১,৭৬,৭৮) (এমবাপে ৩৯)
দুই লেগ মিলিয়ে রিয়াল ৩-২ জিতল
মাদ্রিদ: এ ভাবেও ফিরে আসা যায়। রিয়াল মাদ্রিদকে (Real Madrid) দেখে এই একটা কথাই বলা যায়। দ্বিতীয়ার্ধে বেঞ্জেমা ম্যাজিক। আর তাতেই মেসি-নেইমার-এমবাপের স্বপ্ন ছারখার। বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে (PSG) যোগ দেওয়ার সময় মেসি আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্যারিসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ভাগ্য ফেরাবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। প্রি -কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় প্যারিস সাঁ জাঁ-র। ডোনারাম্মার ভুল, বেঞ্জেমার ম্যাজিক- মাদ্রিদে একটা দ্বিতীয়ার্ধই প্যারিসের সমস্ত আশা ভরসা নিভিয়ে দিল। আর বেঞ্জেমা বোঝালেন, বুড়ো হাড়ে এখনও ভেল্কি দেখাতে পারেন। এমবাপে যতই মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক, ফ্রান্সের ফুটবলে জিদানের পরে এখনও তাঁর নামই সবার আগে আসে। তিনি করিম বেঞ্জেমা। প্যারিসে প্রথম পর্বে রিয়ালকে ১-০ হারিয়েছিল পিএসজি। বুধ রাতে ফিরতি পর্বের ম্যাচেও প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি-এমবাপে-নেইমাররা। কিন্তু রিয়ালের ডেরা থেকে শেষ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল না পিএসজি।
খেলার প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম পর্বে ০-১ হারায় শুরু থেকেই গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে মরিয়া চেষ্টা চালান বেঞ্জেমা-আসেনসিওরা। ৩৩ মিনিটে অফসাইডের কারণে পিএসজির একটি গোল বাতিল হয়। ৩৯ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে দুরন্ত গোল এমবাপের। দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া আক্রমণ চালাতে থাকে রিয়াল। ৬১ মিনিটে ডোনারাম্মার একটা ভুলেই ম্যাচে ফিরল আন্সেলোত্তির ছেলেরা। পিএসজির ডিফেন্ডার ভেরাত্তি ব্যাক পাস করেন ইতালির গোলকিপারকে। সেখান থেকে মিস পাসে বল ভিনিশিয়াসকে বাড়ান ডোনারাম্মা। ওখান থেকে বেঞ্জেমার উদ্দেশ্যে বল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। ম্যাচ ১-১ করে দেন বেঞ্জেমা।
৭৬ মিনিটে ফের বেঞ্জেমার গোল। লুকা মদ্রিচের ঠিকানা লেখা পাস ফরাসি স্ট্রাইকারকে। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি বেঞ্জেমা। আর এই গোলের পরই অ্যাগ্রিগেট ২-২ হয়ে যায়। কিন্তু শেষ আটে ওঠার জন্য আরও একটা গোলের প্রয়োজন ছিল। আবার বাজিমাত বেঞ্জেমার। ২ মিনিট বাদেই ভিনিশিয়াসের বাড়ানো বল থেকে ম্যাচের ফল ৩-১ করে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার। পিএসজির রক্ষণ তখন ভাঙা হাট। ডোনারাম্মার ওই একটা ভুল নিজের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাল। আর ওই একটা গোলেই আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ হয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদের। মেসি-নেইমার-এমবাপে তারকাখচিত দল নিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে ছুটি হয়ে গেল পিএসজির।