মাদ্রিদ : মারাদোনা প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর স্মৃতি গুলো আজও অমলীন। ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) সঙ্গে জড়িত কোনও স্মৃতি যদি থাকে? ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ ফাইনাল। ওয়েস্ট জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা (Argentina)। ম্যাচের বিরতিতে সৌহার্দের চিত্রও দেখা গিয়েছিল। মারাদোনার সঙ্গে জার্সি বদল করেছিলেন ওয়েস্ট জার্মানির লোথার ম্যাথাউস (Lothar Matthäus)। মেক্সিকোয় হওয়া সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে ৩-২ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। মারাদোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয় আর্জেন্টিনার। স্পেশাল সেই জার্সি সযত্নে নিজের কাছে রেখেছিলেন জার্মান কিংবদন্তি। মত বদল করেছেন তিনি। ফুটবল অনুরাগীদের কাছে এই জার্সি অন্যতম আকর্ষণ। সেই জার্সি ফিরিয়ে দিলেন লোথার ম্যাথাউস। ব্যক্তিগত স্মৃতিকে সকলের জন্যই দেখার সুযোগ করে দিলেন।
Recibimos a Legends, emprendimiento del argentino Marcelo Ordás en Madrid.
??La reliquia futbolística más importante de la historia #vuelveacasa.
Gracias Lothar Matthäus(@LMatthaeus10), Victor H. Morales(@VHMok) y Oscar Mayo (@LaLiga). #Diegoeterno #Maradona pic.twitter.com/bUXZ72Itqg
— Argentina en España (@ARGenesp) August 25, 2022
মাদ্রিদে নতুন ফুটবল মিউজিয়াম হয়েছে। স্পেনের রাজধানীতেই শোভা পাবে এই জার্সি। আর্জেন্টিনা দূতাবাসে মারাদোনার সেই জার্সি ফিরিয়ে দেন জার্মান কিংবদন্তি। সেটি রাখা হয়েছে মাদ্রিদের মিউজিয়ামে। মারাদোনার প্রয়াণের পর ম্যাথাউস বলেছিলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে খেলা গর্বের। একজন খেলোয়াড় হিসেবে, মানুষ হিসেবে আমার কাছে মারাদোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলেন। আমার হৃদয়ে আজীবন বেচে থাকবে মারাদোনা’।
১৯৯০ সালে ইতালি বিশ্বকাপ ফাইনালের পরও মারাদোনার সঙ্গে জার্সি বদল করেছিলেন, এমনটা জানান ম্যাথাউস। জার্মানির এক মিউজিয়ামে সেই জার্সিটি রাখা আছে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মারাদোনার ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোল সকলের স্মৃতিতে অমলীন। সেই গোল নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। মারাদোনার শ্রেষ্টত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোলের সেই জার্সি অনলাইন নিলামে প্রায় ৭২ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ক্রীড়া স্মারক হিসেবে এটিই সবেচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। ক্রীড়াক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য ম্যাথাউসকে একটি স্মারক উপহার দেওয়া হয় আর্জেন্টিনা দূতাবাসের তরফে।