আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নতুন মরসুম। ১৬ সেপ্টেম্বর নামার কথা মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। আইএসএলে অভিষেকের অপেক্ষায় বাংলার এই ক্লাবের। বাংলার ফুটবলপ্রেমীরাও অপেক্ষায়, এ বার তিন প্রধানই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলবে। কিন্তু আচমকাই মহমেডানের আকাশে কালো মেঘ। আইএসএল অভিযানের আগেই বিপত্তি রেড রোডের পাশের ক্লাবের। আচমকাই ইনভেস্টর সমস্যায় মহমেডান স্পোর্টিং। আইএসএল সূচি ঘোষণার পরদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক শর্মা। ক্লাবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় হচ্ছে না বাঙ্কারহিল-শ্রাচী স্পোর্টসের চুক্তি। অভিযোগ, শর্তপূরণে ব্যর্থ ক্লাবকর্তারা। অভ্যন্তরীণ ঝামেলার জেরে মহমেডানের সঙ্গে চুক্তি করতে নারাজ বাঙ্কারহিল আর শ্রাচী স্পোর্টস।
বাঙ্কারহিলের সঙ্গে শ্রাচী স্পোর্টসের টার্মশিটে চুক্তির পর মূল চুক্তিপত্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে ক্লাব। বোর্ডের সদস্য নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তায় ঠিক ছিল ক্লাব থেকে ২ জন প্রতিনিধি, বাঙ্কারহিল আর শ্রাচী স্পোর্টস থেকে ২ জন করে প্রতিনিধি থাকবেন। এখন ক্লাব দাবি করছে বোর্ডে ৫ জন প্রতিনিধি থাকবে তাদের। এমনকি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হবেন ক্লাবের প্রতিনিধি। ইনভেস্টর কর্তারা চাইছেন বোর্ডে তাঁদের অগ্রাধিকার থাকুক। এমনকি চেয়ারম্যানও হোক ইনভেস্টর কর্তা। এই নিয়ে মতানৈক্য। ফলে প্রধান চুক্তিপত্রে সই নিয়ে জটিলতা।
দীপক কুমার সিংয়ের অভিযোগ, ক্লাবের ৬১ শতাংশ শেয়ার এখনও বাঙ্কারহিলকে দেয়নি মহমেডান স্পোর্টিং। ফলে তারা এই চুক্তি করতে নারাজ। অনেক সমস্যা কাটিয়ে আশার আলো দেখেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। চুক্তি ভেঙে গেলে আর্থিক সমস্যায় পড়বে মহমেডান স্পোর্টিং। স্বাভাবিক ভাবেই আইএসএলের আগে গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারে মহমেডান স্পোর্টিং।
মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সচিব ইসতিয়াক আহমেদ রাজু বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। টেবিলে সমঝোতার মাধ্যমে ঠিক হয়ে যাবে। দীপক ভাই উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছেন। ক্লাবের ৫১ শতাংশ শেয়ার ট্রান্সফার করা হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ শেয়ার ট্রান্সফার করা হবে ক্লাব আইএসএলে খেলার পর। সেই প্রসেস চলছে।’