Mohun Bagan: সর্বসাধারণের ক্রীড়া লাইব্রেরি, লনে বইমেলা, বিদেশি মডেলে একঝাঁক অভিনব উদ্যোগ বাগানে

সামনে তাকানো, উদাহরণ তৈরি করা, অন্যকে মোটিভেট করা, সবুজ-মেরুন বরাবর এই পথেই হেঁটেছে। তার ব্যতিক্রম আজও হচ্ছে না।

Mohun Bagan: সর্বসাধারণের ক্রীড়া লাইব্রেরি, লনে বইমেলা, বিদেশি মডেলে একঝাঁক অভিনব উদ্যোগ বাগানে
ক্রীড়া লাইব্রেরি, লনে বইমেলা, একঝাঁক অভিনব উদ্যোগ বাগানে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2022 | 8:06 PM

কলকাতা: ময়দানকে আবার এক অভিনব ঘটনার সামনে দাঁড় করাতে চলেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। যার সাক্ষী থাকার সুযোগ এর আগে কখনও হয়নি। ময়দান তো বটেই, বাংলার খেলাধুলোও। ভারতীয় (Indian Football) কোনও ক্লাব কি এমন করেছে? উত্তরে বলতে হবে, না! আসলে সামনে তাকানো, উদাহরণ তৈরি করা, অন্যকে মোটিভেট করা, সবুজ-মেরুন বরাবর এই পথেই হেঁটেছে। তার ব্যতিক্রম আজও হচ্ছে না। যতই নতুন প্রজন্মকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুক মোহনবাগান, বরাবরের মতো অভিনবত্বে সাড়া ফেলল। তা কী? শুনলে অবাক হতে হবে। হয়তো কেউ কেউ চমকেও যাবেন। যা একমাত্র দেখতে পাওয়া যায় বিদেশের নানা ক্লাবে।

কী করতে চলেছে মোহনবাগান? আধুনিকতার সঙ্গে তালমিলিয়ে ক্রীড়া লাইব্রেরি (Sports Library) তৈরি করতে চলেছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। বুধবার বিকেলে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণাও করে দেওয়া হল। তবে, লাইব্রেরি মানে সার্বিক বইয়ের নয়, শুধু খেলার বই থাকবে বাগানের বই-সম্ভারে। এমন ঘটনা বেশ অন্য রকম। বই পড়া যখন কমছে, তখন মোহনবাগানের মতো ক্লাব বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য এগিয়ে আসছে সামনে। বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষায় খেলার বইয়ের চাহিদা কিছু কম নয়। প্রতি বছরই নতুন নুতন বই ছাপা হচ্ছে। ময়দানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষজন খেলার পাশাপাশি খেলার বই পড়তেও যে ভালোবাসেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিল বাগানের কার্যকরী সমিতি।

স্পোর্টস লাইব্রেরি এর আগেও ময়দান দেখেছে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবিতে স্পোর্টস লাইব্রেরি ছিল। যা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু দিন হল। কিন্তু সেই লাইব্রেরি সর্বসাধারণের জন্য ছিল না। শুধু মাত্র প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে জুড়ে থাকা লোকজনই সেই লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতে পারতেন। সে দিক থেকে দেখতে গেলে মোহনবাগানের লাইব্রেরির গুরুত্ব নিশ্চিত ভাবেই অনেক বেশি। এতেই শেষ নয়, খেলার বই নিয়ে প্রতি বছর ক্লাবের লনে বইমেলার আয়োজনও করবে ক্লাব প্রশাসন। যা বেশ অভিনব দিক। খেলার বইকে নতুন করে তুলে ধরার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে হবে।

এরই মধ্যে মোহনবাগানে হকির মেন্টর হলেন ধ্যানচাঁদের ছেলে অশোক কুমার। তিনিই মোহনবাগানের হকি টিম বানাবেন। ইস্টবেঙ্গল গত মরসুম থেকেই আবার ফিরেছে হকি লিগে। মোহনবাগানকেও দেকা যাবে আগামী মরসুম থেকে। কিন্তু অ্যাস্ট্রোটার্ফহীন বাংলার হকির ভবিষ্যৎ কী? হায়াতের পিছনে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশন অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেও যা সফল হয়নি। অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসলে মোহনবাগান প্র্যাক্টিস করবে সেখানেই।