Vishal Kaith: আজীবন মোহনবাগানে খেলতে চাই… বিশাল কাইথের চুক্তি বাড়াল সবুজ-মেরুন শিবির
Mohun Bagan: শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগানের জার্সিতে আইএসএল ও ডুরান্ড কাপে সোনার গ্লাভস জিতেছেন বিশাল। হিমাচল প্রদেশ থেকে উঠে আসা তাঁর। বাগান শিবিরের সঙ্গে নিজের চুক্তি বাড়ার পর বিশাল বলেন, 'আজীবন মোহনবাগানে খেলতে চাই।'
কলকাতা: ‘লোয়ালটির আরেক নাম বিশাল কাইথ।’ এই লাইনটির পাশে একটি সবুজ ও একটি মেরুন ইমোজি দিয়ে তারকা গোলকিপারের এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। ২৮ বছরের বিশালের (Vishal Kaith) সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। সবুজ-মেরুন প্রেমীদের প্রিয় ‘উড়ন্ত বাজপাখির’ সঙ্গে ২০২৯ সাল অবধি চুক্তি বাড়ল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের।
২০২২ সালে চেন্নায়িন এফসি থেকে বাগান শিবিরে যোগ দেন বিশাল কাইথ। মোহনবাগানের অত্যন্ত ভরসা যোগ্য গোলকিপার তিনি। জেসন কামিংস, শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসোরা এক বাক্যে বলেন, ‘তিন কাঠির তলাতে বিশাল কাইথ থাকা মানে নিশ্চিন্তে দলের সকলে জয়ের জন্য ঝাঁপাতে পারে।’
শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগানের জার্সিতে আইএসএল ও ডুরান্ড কাপে সোনার গ্লাভস জিতেছেন বিশাল। হিমাচল প্রদেশ থেকে উঠে আসা তাঁর। বাগান শিবিরের সঙ্গে নিজের চুক্তি বাড়ার পর বিশাল বলেন, ‘আজীবন মোহনবাগানে খেলতে চাই। সবুজ মেরুন সমর্থকদের ভালোবাসা এবং আবেগ আমার কাছে ভীষণ দামী। আর তা এতটাই যে, একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও এই ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবি না। সেই জন্যই এই রকম লম্বা চুক্তি করলাম।’
লোয়ালটির আরেক নাম @vishalkaith01 💚♥️🫡
Catch all the #ISL action on @officialjiocinema 👉 https://t.co/8B4UzigVdz 📺#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/P0KfeW2cFX
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 8, 2024
একটা সময় উইকেটকিপার ও গোলকিপার দুটো ভূমিকাতেই খেলতেন স্পোর্টস স্কুলে। পরে গোলকিপিংকেই বেছে নেন। এই প্রসঙ্গে বিশাল কাইথ বলেন, ‘উইকেটকিপার হিসেবে পাড়া ও স্কুলে খেলাটা আমার খুব কাজে লেগেছে। ছোট বলে সফল হতে পারলে, বড় বলে সাফল্য পাওয়া সহজ হয়।’
গোলকিপারের কাজ নিয়ে বিশাল বলেন, ‘গোলকিপারের জীবনটা বড়ই অদ্ভুত। একটা মাত্র ভুল বা সাফল্যে কেরিয়ার শেষ বা উত্থানের দিকে যেতে পারে। ৯০ মিনিট কোনও বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সব সময় নিজেকে তৈরি রাখতে হয়। সতর্ক থাকতে হয়। আমি এগুলো মাথায় রাখি। ওই ভাবেই নিজেকে তৈরি করি। পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমি মনে করি স্ট্রাইকারের কাজ যেমন গোল করা, তেমনই গোলকিপারে কাজ গোল বাঁচানো।’