দোহা : কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষটা নিখুঁত হতে পারত স্পেনের (SPAIN)। যেমন শুরুটা হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ৭-০ ব্যবধানে জেতে স্পেন। পাসের ফুলঝুরিতে প্রতিপক্ষের নাভিশ্বাস ছুটিয়ে ছিল। জার্মানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্য়াচে এগিয়ে থেকেও ১-১ ড্র। সবচেয়ে বড় অস্বস্তি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে। এশিয়ান জায়ান্ট জাপানের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ১-২ ব্যবধানে হার। যার জেরে জার্মানি জিতেও ছিঁটকে যায়। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে স্পেন। গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউটের যোগ্যতা অর্জন করেছিল জাপান। যদিও শেষ ষোলোতেই বিদায় নিয়েছে জাপান। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে হারে তারা। শেষ ষোলোয় স্পেনের প্রতিপক্ষ মরক্কো (MOROCCO)। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে? তার জন্যই বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছেন লুইস এনরিকে। স্পেন-মরক্কো ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
ইউরো কাপের পরিস্থিতিটা ভোলেননি স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। দু-বছর আগের কথা। অনবদ্য ফুটবলে ক্রমশ এগোচ্ছিল স্পেন। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে জিতলেও সেমিফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হার। ট্রফির অনেকটা কাছে পৌঁছেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। এ বার নকআউটে তাই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। তার প্রস্তুতিও সেরে রেখেছেন। ইউরোর পরই ছাত্রদের হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের নকআউটের আগে এক হাজার পেনাল্টি প্র্যাক্টিসের। মরক্কো ম্যাচের আগে পুরোটাই জানালেন স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। ছাত্ররা কি হোমওয়ার্ক সেরেছেন? ম্যাচে পরিস্থিতি এলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
মরক্কোর বিরুদ্ধে নামার আগে স্পেনের কোচ বলেন, ‘এক বছর আগে শিবিরে সকলকে বলেছিলাম, এখানে আসার আগে অন্তত এক হাজার পেনাল্টি প্র্যাক্টিস করতে। আশা করি, ওরা হোমওয়ার্ক করেছে।’ পেনাল্টি থেকে গোল করা কোনও লটারি নয়। বরং এর জন্য দক্ষতা এবং প্র্য়াক্টিস প্রয়োজন। স্নায়ুর চাপ সামলে টাইব্রেকারে শট নেওয়া সহজ নয়। এনরিকের কথায়, ‘ওই মুহূর্তেই সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে। স্নায়ুর চাপ সামলে দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়। এমনকি হাজার বার প্র্যাক্টিসও করলেও সেটা যথেষ্ট নয়। সেখানেই ফুটবলারদের আসল পরীক্ষা।’
মরক্কোর উইং ব্যাক আশরাফ হাকিমি মনে করছেন, এ বারের বিশ্বকাপে আরও একটা অঘটনের জন্য় প্রস্তুত তাঁরা। ২৪ বছরের এই ফুটবলারের জন্ম মাদ্রিদে। হয়তো প্রতিপক্ষ দেশের হয়েই বিশ্বকাপ খেলতেন! স্পেনের যুব দলেও খেলেছেন। জন্মভূমির বিরুদ্ধে নামার আগে আশরাফ বলছেন, ‘দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলা দারুণ অনুভূতি। আমরা ইতিহাস গড়তে চলেছি। সঙ্ঘবদ্ধ ফুটবল খেলছি।’ গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে স্পেনের কাছে হেরেছিল মরক্কো। চার বছরে অভিজ্ঞতা বেরেছে, দক্ষতাও। এ বার অনেক পরিণত হয়েই নামছেন, এমনটাই দাবি হাকিমির।