কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল এবং সাফল্য। কিছুতেই যেন কাছাকাছি আসছে না। আই লিগেও এমনটাই দেখা গিয়েছিল। বহু বার ভালো শুরু করে, ট্রফির অনেক কাছে পৌঁছেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই নিয়ে তৃতীয় মরসুম খেলছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম পর্বে ১০ ম্য়াচে মাত্র ৩টি জয় ছিল। দ্বিতীয় পর্বের শুরু কিছুটা ভালো হয়েছে। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সাফল্য়-ব্য়র্থতার মাঝে লাল-হলুদ শিবিরে এ বার প্রাপ্তি ক্লেটন সিলভা-নাওরেম মহেশ জুটি। ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করে চলেছেন এই দু-জন। ক্লেটন সিলভার বেশির ভাগ গোলের ক্ষেত্রেই অ্যাসিস্ট নাওরেমের। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নাওরেমও। কী বলছেন তিনি? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ক্লেটন সিলভা এবং নাওরেমের রসায়ন, ইস্টবেঙ্গল শিবিরে সুখবর। দলের বাকিরাও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে বাকি ম্যাচগুলিতে ভালো ফল করতেই পারে। গত দুই মরসুমে এমন একটা জুটিরই যেন অভাব ছিল ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। এ বার আক্রমণ বিভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্লেটন, নাওরেম। ক্লেটনের সঙ্গে রসায়ন নিয়ে মহেশ বলেন, ‘ক্লেটনের থেকে অনেক কিছু শিখেছি আরও শিখছি। কখনও জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পেলে, এই শিক্ষাগুলো কাজে লাগবে। ইস্টবেঙ্গলে ক্লেটন যা করছে, জাতীয় দলে আমাকেও এই কাজগুলো করতে হবে। বল নিয়ে উঠে সামনে তাকালে ক্লেটনকেই দেখতে পাই। যেখানেই ওকে দরকার, সেখানেই ওকে পাওয়া যায়। সব সময় দৌড়চ্ছে। ওর সঙ্গে এই বোঝাপড়ার ফলে আমারও সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়’।
ইস্টবেঙ্গল শিবিরে যেন আপশোস, নাওরেম মহেশ এবং ক্লেটন সিলভার মতো বাকিরাও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে! গত ম্যাচে অনেকটা ভরসা দিয়েছেন ভিপি সুহেরও। বেঙ্গালুরু ম্যাচে সেরা প্রাপ্তি ছিল ক্লেটনের ফ্রি-কিক। ম্যাচের একে বারে শেষ মুহূর্তের ঘটনা। কার্যত মাঝমাঠে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভা শট নেন। ওয়াল, গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে বল ডিপ করে গোলে। বিশ্বমানের একটা ফ্রি-কিক সামনে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছে যুবভারতীতে উপস্থিত সমর্থকরা। বাকি ম্যাচগুলিতে ক্লেটনের থেকে প্রত্যাশা বাড়তে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।