মাদ্রিদ: বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়া এখনও মেনে নিতে পারেননি। কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নেইমারের কান্না এখনও ভুলতে পারেননি ব্রাজিলের সমর্থকরা। তবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও কিছুটা স্বস্তি পেলেন নেইমার। যে অভিযোগ ছিল তাঁকে ঘিরে, তা থেকে বেকসুর খালাস করে দিল স্প্যানিশ আদালত। নেইমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ব্রাজিলের স্যান্টোস থেকে বার্সেলোনায় আসার সময় যে অঙ্কের চুক্তি করা হয়েছিল, তা গোপন করেছিলেন তিনি। সেই সময়ের যে সংস্থা তাঁর ম্যানেজারের কাজ করত, তারাও জানত আর্থিক চুক্তির অঙ্কটা। সে নিয়ে আর কোনও চাপ রইল না ব্রাজিলিয়ান তারকার।
স্পানিশ আদালত নেইমার উপর এই দুর্নীতি নিয়েই তদন্ত করেছিল। ব্রাজিলিয়ান সংস্থা ডিআইএস চুক্তি সংক্রান্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। নেইমারের এর আগেও আদালতে নিজের সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, তিনি চুক্তির ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তাঁর বাবা নেইমার সিনিয়র যেখানে সই করতে বলেছিলেন, সেখানেই সই করে দিয়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ান ওই সংস্থার সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি থাকলেও বার্সায় যোগ দেওয়ার পরই তা ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন। তখন থেকেই ওই সংস্থার তরফে উঠে এসে নানা অভিযোগ। তারাই মামলা করে। নেইমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যদি প্রমাণিত হত, তা হলে জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে পারত। বিশ্বকাপের আগেই অবশ্য প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, যে তথ্য নেইমারের বিরুদ্ধে আদালতে পেশ করা হয়েছে, তাতে খুব একটা চাপে পড়ার কথা নয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের।
মঙ্গলবারই স্প্যানিশ আদালত নেইমার মামলায় রায় দেয়। তাতে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গে নেইমার জড়িত নন। এমনকি, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের পরিবারের প্রতিও যে অভিযোগ উঠেছিল, তাও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে খানিকটা হলেও স্বস্তিতে নেইমার। তবে একটাই আক্ষেপ এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ব্রাজিলকে। যদি সেরাটা দিতে পারত তাঁর টিম, তা হলে হয়তো এখনও বিশ্বকাপের চৌহদ্দিতেই থেকে যেতেন নেইমার এবং তাঁর ব্রাজিল।