EURO 2020: ২৯ বছর পর বাবার মতই স্বপ্নপূরণ করতে চান ক্যাসপার!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Jul 04, 2021 | 5:35 PM

১৯৯২ সালে যখন ডেনমার্ক ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন বাবা পিটার স্কিমিচেলেের বয়স ছিল ২৮ বছর। পুত্র ক্যাসপার তখন সবে পাঁচ বছরে পা দিয়েছেন।

EURO 2020: ২৯ বছর পর বাবার মতই স্বপ্নপূরণ করতে চান ক্যাসপার!
বাঁদিকে পুত্র ক্যাসপার স্কিমিচেল ও ডানদিকে পিটার স্কিমিচেল (ছবি সৌঃ ট্যুইটার)

Follow Us

বাকুঃ ১৯৯২ সালের ২৬শে জুন। গোথেনবার্গে ফাইনাল বাঁশিটা বাজার পর ডেনমার্কের (DENMARK) লপোস্টের তলায় মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুঁড়ে দিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাস মনে রাখার মত ছিল। জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেবার চ্যাম্পিয়ন (CHAMPION) হয়েছিল ডেনমার্ক। লাউড্রাপ ব্রাদার্সের সেই ডেনমার্কে ছিলেন আরও এক তারকা। পিটার স্কিমিচেল(PETER SCHMEICHEL)। ১৯৯২ সালের ইউরোতে(EURO 2021) ডেনমার্কের তিনকাঠির তলায় ছিলের অতন্দ্র প্রহরীর মত। মাঝে কেটে গিয়েছে ২৯ বছর। এতবছর পর আবার সেমিফাইনালে ডেনমার্ক। আর ডেনমার্কের গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন পিটার পুত্র ক্যাসপার স্কিমিচেল(KASPER SCHMEICHEL)।

কাকতালীয় হলেও সত্যি। ২৯ বছরের ব্যবধানে ইউরোর সেমিফাইনালে উঠল ডেনমার্ক। আর দুই প্রজন্মে ড্যানিশ গোলকিপার মানেই তিনি এসেছেন স্কিমিচেল পরিবার থেকে। ১৯৯২ সালে যখন ডেনমার্ক ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন বাবা পিটার স্কিমিচেলেের বয়স ছিল ২৮ বছর। পুত্র ক্যাসপার তখন সবে পাঁচ বছরে পা দিয়েছেন। পিটার স্কিমিচেল যখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্বফুটবলে, তখন তাঁর সমসাময়িক কিংবা প্রাক্তন গোলকিপারদের তাঁকে নিয়ে একটাই বক্তব্য ছিল। পিটার একজন কমপ্লিট গোলকিপার, যিনি গোলকিপিংয়ের টেকনিক জানেন নিখুঁতভাবে। শুধু তাই নয় ম্যাচ রিডিং ছিল অত্যন্ত উঁচুমানের।

তাঁর সময়ে তো নামীদামী গোলকিপারের অভাব ছিলনা। ইতালির ওয়াল্টার জেঙ্গা, আর্জেন্তিনার গায়কোচিয়া, ইংল্যান্ডে তখন পিটার শিল্টনের শেষদিক।তার মধ্য়ে পিটার স্কিমিচেল হয়ে উঠেছিল অনন্য। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের ছেলে হিসেবে পরিচিত পিটার স্কিমিচেল গলকিপার হলেও জাতীয় দলের হয়ে ১ গোলও করেছেন। কেরিয়ারে গোলকিপার পিটারের গোলসংখ্যা ১১টি।

শনিবার চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়ে যখন ২৯ বছর পর ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠল ডেনমার্ক, তখন স্বাভাবিকভাবে উঠে আসবেই পিটার স্কিমিচেলের নাম। কারন, ২৯ বছর আগে ইউরোতে সেরা গোলকিপারের পুরস্কার তো তিনিই ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। আর এবার যখন প্রায় ৩ দশক পর ইউরোর সেমিফাইনালে উঠল ডেনমার্ক, তখন গোলপোস্টের তলায় তাঁর পুত্র ক্যাসপার স্কিমিচেল।

৩৪ বছরের ক্যাসপারও এবার ডেনমার্কের সবচেয়ে বড় ভরসা। লেস্টার সিটি ইপিএল জিতে যেবার ইতিহাস তৈরি করেছিল, সেবার গোলরক্ষকের দায়িত্ব সামলিয়েছেন এই ক্যাসপার স্কিমিচেল। এখনও তিনি লেস্টার সিটিতে। একসময় ম্যান সিটিতে খেলা ক্যাসপারের মধ্যেও প্রাক্তন গোলকিপাররা বাবার  ছায়া দেখতে পান। বাবার মতই পেছন থেকে নেতৃত্ব দেওয়াটা রপ্ত করে ফেলেছেন ক্যাসপার। আর এবার বাবার মতই ইতিহাস গড়তে চান ইউরোর মঞ্চে।

২৯ বছর পর ডেনমার্কের কি স্কিমিচেল লাক-ফ্যাক্টর কাজ করবে?

আরও পড়ুন: EURO 2020 : ইউক্রেনকে দুরমুশ করে ১৫ বছর পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

Next Article