কলকাতা : ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ (Fifa Women’s World Cup 2023) চলছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। ২০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই মেগা টুর্নামেন্টে বর্তমানে নকআউট ম্যাচের খেলা চলছে। পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে যতটা উন্মাদনা রয়েছে সেই তুলনায় মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে হইচই নেই। যে কারণে দুটি টুর্নামেন্টের পুরস্কারের অর্থের মধ্যেও বিস্তার ফারাক রয়েছে। গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। দলটি একাই ৪২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩৪৭ কোটি টাকা পেয়েছে পুরস্কার মূল্য হিসেবে। রানার্স টিম ফ্রান্স পায় ২৪৮ কোটি টাকা! বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
মহিলাদের ফিফা বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি পুরুষদের তুলনায় ১০ গুণ কম। ইএসপিএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ অগস্ট অনুষ্ঠিত হতে চলা মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালের বিজয়ী দলের ফেডারেশন ফিফার থেকে ৪.৩ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩৬ কোটি টাকা পুরস্কার হিসেবে পাবে। সেখানে পুরুষদের বিশ্বকাপের মোট প্রাইজ মানি ছিল ৪৪০ মিলিয়ন ডলার। মহিলাদের ক্ষেত্রে তা মাত্র ১১০ মিলিয়ন ডলার! পুরুষদের বিশ্বকাপে সর্বশেষ র্যাঙ্কিং দলটিও পায় ৯ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার। অর্থাৎ মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলটির পুরস্কারের প্রায় দ্বিগুণ। সর্বশেষ র্যাঙ্ক করা মহিলা দলকে ফিফা ১.৬ মিলিয়ন ডলার পুরস্কৃত করবে।
আমেরিকার মহিলা ফুটবল দল বরাবরই সমান পুরস্কারের দাবি করে আসছে। দলটি এ পর্যন্ত চারবার মহিলা বিশ্বকাপ জিতেছে এবং প্রতিবারই তাদের দাবি তুলে ধরেছে। ২০১৯ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফ্রান্সে আয়োজিত হয়েছিল। সে বার আমেরিকা খেতাব জেতে। ফাইনালের পর সমর্থকরাও সমান পুরস্কারের দাবিতে স্লোগান দিয়েছিলেন। আমেরিকান দলটি যখন ট্রফি তুলে ধরছিল তখন স্টেডিয়াম থেকে সমান পুরস্কার অর্থ দেওয়ার দাবিতে স্লোগান উঠতে দেখা যায়।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো গত মার্চ মাসে ফিফা কংগ্রেসে বলেছিলেন, ” ২০২৬ সালের পুরুষ এবং ২০২৭ সালের মহিলা বিশ্বকাপের পুরস্কার মূল্যের সমতা আনার ইচ্ছে রয়েছে। ফিফা শুধু কথায় নয় কাজে করে দেখাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সবাই এটা চায় না। ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ সম্প্রচার সত্ত্বের জন্য ১০০ গুণ কম অফার দেওয়া হয়েছে।”