Kylian Mbappe, FIFA WC 2022: শুধুই কি বড় মাপের ফুটবলার? ব্যক্তি এমবাপের এই কাহিনি জানেন!

FIFA world Cup 2022: ফুটবল দুনিয়ার উজ্জ্বল তারকা হওয়ার পাশাপাশি প্যারিসের একজন ফ্যাশন আইকন এমবাপে। এর পাশাপাশি ফ্রান্সের একজন 'এলিজেবল ব্যাচেলর' তিনি। ফ্যাশনের দুনিয়ায় পা রাখার পরেই বেশ পরিচিতি লাভ করেন। সুইস ঘড়ি প্রস্তুতকারক হুব্লটের আইওয়্যার ব্র্যান্ডের গ্লোবাল অ্যাম্বাস্যাডর এমবাপে। হাই প্রোফাইল সুন্দরীদের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। তবে তিনি মাঠের বাইরেও 'গোল' করছেন কিনা, সেই বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

Kylian Mbappe, FIFA WC 2022: শুধুই কি বড় মাপের ফুটবলার? ব্যক্তি এমবাপের এই কাহিনি জানেন!
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2022 | 10:30 AM

দোহা : পোল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ আটে ফরাসি শিবির। এরপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে ফ্রান্স। কোয়ার্টার ফাইনালে সাউথগেটের দলের চাপ বাড়াচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপে। কিলিয়ান এমবাপেই ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ করতে পারেন। ফ্রান্সের সোনার ছেলেকে থামানোর চেষ্টায় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। বর্তমানে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম এমবাপে। ফ্রান্সের ফ্রি-স্কোরিং উইঙ্গারের সাপ্তাহিক আয় ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড! তবে ২৩ বছর বয়সী ফরাসি খেলোয়াড়ও মাঠের বাইরেও একজন অনন্য ব্যক্তি। প্যারিসের শহরতলির তরুণ ফেনোম সত্যিকারের ভয়ঙ্কর স্ট্রাইকারে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া উচ্চ-প্রোফাইলের মহিলাদের সঙ্গে আলাপ থাকার পাশাপাশি, বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে প্রচুর অর্থ দান করেছেন এমবাপে। ১৯ বছরের এমবাপে ২০১৮ বিশ্বকাপে ৪ টি গোল করেন। কাতার বিশ্বকাপে ৫টি গোল করার পর ফ্রান্সের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন খেতাব ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী তিনি। ব্যক্তি জীবনে ঠিক কেমন মানুষ এমবাপে? তুলে ধরল TV9Bangla

ক্যামেরুনিয়ান বাবা ও আলজেরিয়ান মায়ের সন্তান এমবাপে প্যারিসের শহরতলির কমিউন বন্ডিতে বেড়ে উঠেছেন। শৈশবে বিশেষ আতিশয্য পাননি তিনি। এমবাপের বাবা উইলফ্রেড স্থানীয় ক্লাব এএস বন্ডির কোচ ছিলেন। ২০১৫ সালে ১৬ বছর ৩৪৭ দিন বয়সে ফরাসি শিবিরে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে থিয়েরি অঁরির রেকর্ড ভাঙেন তিনি। ফরাসি শিবিরে প্রথম মরসুমে ২৬টি গোল করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফ্রান্সের জাতীয় দলে অভিষেক। ২০১৮ বিশ্বকাপে ৪টি গোল করেন। চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। সে সময় তরুণ ফুটবলার, কাতারে অনেক পরিণত এমবাপে। গত বিশ্বকাপের পরই পিএসজিকে লিগ শিরোপা উপহার দেন। সর্বাধিক গোলদাতা ও সেরা ফুটবলার হিসেবে মরসুম শেষ করেন তিনি। বিশ্বকাপের মঞ্চে ইতিমধ্যে ৯ টি গোল করেছেন এমবাপে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এমবাপে সব ম্যাচ মিলিয়ে ৩০২টি গোল ও জাতীয় দলের হয়ে ৩৩টি গোল করেছেন। জার্মানির স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোজেকে ছাপিয়ে যেতে পারেন এমবাপে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো তারকাও মনে করছেন, ‘এমবাপেই ফুটবলের নয়া ভবিষ্যৎ তৈরি করবেন।’

ফুটবল দুনিয়ার উজ্জ্বল তারকা হওয়ার পাশাপাশি প্যারিসের একজন ফ্যাশন আইকন এমবাপে। এর পাশাপাশি ফ্রান্সের একজন ‘এলিজেবল ব্যাচেলর’ তিনি। ফ্যাশনের দুনিয়ায় পা রাখার পরেই বেশ পরিচিতি লাভ করেন। সুইস ঘড়ি প্রস্তুতকারক হুব্লটের আইওয়্যার ব্র্যান্ডের গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর এমবাপে। হাই প্রোফাইল সুন্দরীদের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। তবে তিনি মাঠের বাইরেও ‘গোল’ করছেন কিনা, সেই বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। কানাঘুষো শোনা গিয়েছে, তিনি তাঁর থেকে ৪ বছরের বড় ২৭ বছর বয়সী মডেল রোজ বার্ট্রামের সঙ্গে ডেটিং করছেন। ফরাসি ফুটবলারকে বছরের শুরুতে একজন ট্রান্স মডেলের সঙ্গে ইয়টে ভ্রমণ করতে দেখা গিয়েছে।

সুপারস্টার হওয়া সত্ত্বেও এমবাপে সাফল্যের শীর্ষ থেকে শিকড়, কিংবা নীতিবোধ থেকে সরে আসেননি। ২০১৮ সালে ফরাসি শিবিরের জয়ের থেকে প্রাপ্য ৪০০,০০০ পাউন্ড অর্থ শিশুদের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করেন। এমবাপে বলেছেন ‘আমি মনে করি যারা অসহায় তাদের সাহায্য করা জরুরী।’ প্যারিসে সুবিধা থেকে বঞ্চিত যুবকদের জন্য তাঁর নিজস্ব ফাউন্ডেশন চালু করেছেন এমবাপে। এ ছাড়া অ্যালকোহল, জুয়া ও ফাস্ট ফুডের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্র্যান্ডকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছেন তিনি। ব্যাকরুম ডিলের ক্ষেত্রেও তিনি একজন বুদ্ধিমান অপারেটর। একজন ফুটবলার হিসেবে নিজের মূল্য সম্পর্কে সচেতন। বছরের শুরুতেই পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এমবাপে। তাঁর এই হুমকিতে নড়ে বসে প্য়ারিস স্যঁ জ্যঁ। এই কৌশল পিএসজিকে তাঁর পারিশ্রমিক বাড়াতে বাধ্য করে। এমবাপের সঙ্গে প্য়ারিস স্যঁ জ্যঁ ৩ বছরের জন্য ৫৪৭ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি করে। এ ছাড়া ১৫৬ মিলিয়ন পাউন্ডের সাইনিং বোনাস ও ৬১ মিলিয়ন পাউন্ডের লয়েলিটি বোনাসও যুক্ত হয়েছে। এমবাপে পিএসজি ছেড়ে গেলেও তাঁকে এই অর্থ প্রদান করতে হবে। চুক্তিটি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতেই স্বাক্ষর হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজে এমবাপেকে ফ্রান্সে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে আপাতত বিশ্বকাপেই মনোনিবেশ করেছেন ফরাসি তারকা।