FIFA: বিশ্বকাপে বিয়ার-নিষেধাজ্ঞা, বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে ফিফা?
Beer ban in Qatar: ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের জন্য ফিফার সঙ্গে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি হয়েছিল ফিফার সঙ্গে।
দোহা: মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতারে অ্যাহকোহল যুক্ত পানীয় সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলা দেখতে আসা ফুটবল ভক্তদের একটা বড় অংশ সুরাপ্রেমী। এ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিলেন আগেই। কাতার বিশ্বকাপের খেলা দেখতে দেখতে বিয়ার খাওয়ার সুযোগ থাকবে না, তা আগেই এক রকম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই জানা গিয়েছিল, কাতারে মদ্যপানের ব্যবস্থা না থাকলেও আটটি স্টেডিয়ামে বিশেষ ফ্যান জোন তৈরি করবে ফিফা। সেখানে বিয়ারের সমস্ত রকম ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর দিন কয়েক আগেই সেই সম্ভবনায় ছেদ পড়ে। কাতারি কর্তৃপক্ষের চাপে স্টেডিয়ামে বিয়ারের ব্যবস্থা করার বিষয়টি থেকে সরে আসে ফিফা। এতেই চটেছেন বিশ্বকাপের সহযোগী স্পনসর বাডওয়াইজার। স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রির বিষয়টি বন্ধ হতেই আমেরিকার এই বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা ক্ষতিপূরণের দাবি করছে।
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের জন্য ফিফার সঙ্গে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি হয়েছিল ফিফার সঙ্গে। এই চুক্তিতে স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রির শর্তও ছিল। শুধু এই বিশ্বকাপই নয়। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের জন্য ফিফার সঙ্গে ৯৫ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি হয়ে গিয়েছে ফিফার। আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোয় আয়োজিত হবে সেই প্রতিযোগিতা। যদিও সেখানে কাতারের মতো বিধিনিষেধের কড়াকড়ি থাকবে না। সেই বিশ্বকাপে ৩২টির বেশি দল থাকতে পারে। তা থাকলে ম্যাচের সংখ্যা হবে বেশি। সেই সঙ্গে স্টেডিয়াম এবং ফ্যান জোনে বিয়ার বিক্রির সম্ভাবনা বাড়বে।
কিন্তু কাতারে তা হচ্ছে না। সেখানে বিয়ার বিক্রির অনুমতি না থাকায় বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হবে বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিফার থেকে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করবে বাডওয়াইজার। স্টেডিয়ামে প্রতি গ্লাস বিয়ার ৭পাউন্ডে বিক্রি করত বাডওয়াইডার। সেই বিক্রি হবে না। এক মাত্র দোহার সিটি সেন্টারে অফিসিয়াল ফ্যান ফেস্টিভ্যালে নির্দিষ্টি পরিমাণ বিয়ার বিক্রির সুযোগ থাকছে ওই ফিফার সহযোগী স্পনসর আমেরিকান বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে। সেখানে ৫০০ মিলিলিটার গ্লাসের দাম পড়বে প্রায় ১২ পাউন্ড।