লন্ডন: পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়েও প্রায়শই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কাতারকে। বিশ্বকাপের আগে ইউরোপের অনেক দেশই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে আর ১৫ দিনও নেই। এর মধ্যে ইউরোপে বিভিন্ন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে দরবার করল ফিফার কাছে। ইংল্যান্ড এবং জার্মানি সহ ইউরোপের ১০টি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ফিফার কাছে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে তারা। সেখানে লেখা হয়েছে, “এই ধরনের প্রশ্নগুলো নিয়ে ফিফা যুক্তিযুক্ত উত্তর দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিপূরণ তহবিল এবং দোহায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি কেন্দ্র তৈরি করা দরকার। এই প্রতিশ্রতি পূরণ না হওয়া অবধি আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাব।” রবিবার ইউরোপের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলির তরফে এই খোলা চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
ইউরোপের এই দশটি দেশের ফুটবল সংস্থাই ইউয়েফা (UEFA)-র শ্রমিক এবং মানবাধিকার ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য। এর মধ্যে আটটি দেশ এ বারের কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেবে। যদিও ফিফা দিন কয়েক আগেই এই দেশগুলিকে বলেছিল, রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে বিষয়টিগুলি নিয়ে আওয়াজ না তুলে ফুটবলে মনোনিবেশ করতে। কিন্তু তার পর এই দেশগুলি এই চিঠি পাঠানোর পদক্ষেপ করল। এর আগে অ্যামনেস্টি এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলি পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে ফিফার কাছে দরবার করেছিল। বিশ্বকাপের পুরস্কার মূল্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাবও দিয়েছিল। গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল মানবাধিকার এবং সমকামী সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ডেনমার্কের ফুটবলাররা তাঁদের পরিবারের লোকেদের নিয়ে যাবেন না কাতারে।
বিদেশী শ্রমিকদের প্রতি ব্যবহার এবং সামাজিক আইনের বিষয় নিয়ে কাতার ভূমিকার প্রবল সমালোচনা হয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন দেশ। বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা চলার দিনগুলিতে কী ঘটে, তাই এখন দেখার।