সদ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ জয়। এরপর ভানুয়াতুকে ১-০ হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লেবাননের সঙ্গে ড্র প্রশ্ন তুলেছিল অনেক। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে প্রয়োজন শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে জেতা। ফিফা ক্রমতালিকায় কিছুটা এগিয়ে লেবানন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তরুণ ব্রিগেডকেই নামিয়েছিলেন ইগর স্টিমাচ। শেষ ১০ মিনিট খেলেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও। অনেক প্রশ্নের জবাব মিলেছিল ফাইনালে। লেবাননকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এ বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই। ভারতীয় ফুটবলের নতুন প্রজন্ম কতটা প্রস্তত! বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports– এর এই প্রতিবেদনে।
ফাইনালে জয় অতি সহজে আসেনি। লেবাননের মতো শক্তিশালী বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে, এমনটাই প্রত্যাশিত। গোলশূন্য পরিস্থিতিতে বিরতিতে যায় দু-দল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর আগে ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীর পেপ টক। অধিনায়কের গোলেই এগিয়ে যায় ভারত। সঙ্গে যেন আরও একটা প্রশ্ন, সুনীল ছেত্রী অবসর নেওয়ার পর কী হবে? উত্তর, নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সুনীলই। প্রকৃত অধিনায়কের মতোই সামনে থেকে নেতৃত্ন দিচ্ছেন। তাঁর গোলের মুভ তৈরি হয়েছিল অনবদ্য ফুটবলে। উইংয়ে নিখিল পূজারির ব্যাকহিলে নাটমেগ, ছাংতের পাস। টুর্নামেন্টে ভারতীয় গোলে বল ঢোকাতে পারেনি কোনও প্রতিপক্ষ। আক্রমণে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন সুনীল, তেমনই রক্ষণে সন্দেশ ঝিংগান, গোলকিপার গুরপ্রীত সিং।
আক্রমণে যেমন সুনীলের সঙ্গে সাহাল আব্দুল সামাদ, ছাংতে, জিকসন, অনিরুদ্ধ থাপা, উদান্ত সিং, নাওরেম মহেশরা রয়েছেন তেমনই রক্ষণে সন্দেশ ঝিংগানের সঙ্গে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন আনোয়ার আলি। আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের আরও একটা পরীক্ষা। সুনীল ছেত্রী, সন্দেশ ঝিংগান, গুরপ্রীতদের পরবর্তী প্রজন্ম তুলে আনাও এখন বড় লক্ষ্য। বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন, এশিয়ার সেরা দশটি দেশের মধ্যে থাকা ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। ভারতীয় ফুটবল সংস্থা সেই লক্ষ্যেই ‘ভিশন ২০৪৭’ প্রকল্প গড়েছে। এখন সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলার পালা।