দোহা : তিন সাংবাদিকের মৃত্যু নিয়ে এখনও উত্তাল কাতার বিশ্বকাপ। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ থামেনি। তারই মধ্যে আবার মৃত্যুর কালোছায়া কাতার বিশ্বকাপে। এ বার মারা গেলেন এক নিরাপত্তারক্ষী। লুসেল স্টেডিয়ামে কর্মরত অবস্থায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাও বাঁচানো যায়নি। ২৪ বছরের কেনিয়ান জন নাউ কিবুয়ের অকস্মাৎ মৃত্যু যে আবার অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে আয়োজকদের, সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে বিশ্ব। বারবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে কাতারকে। কেনিয়ান নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু আরও একবার কাতারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কিবুয়ের ক্ষেত্রে। সত্যিই কি তাই? নাকি, অহেতুক বিতর্ক তুলে দিচ্ছে পশ্চিমি দেশগুলো? তুলে ধরল TV9 Bangla।
কী ভাবে মৃত্যু হল কিবুয়ের? ডিসেম্বরের ১০ তারিখ অন্যান্য দিনের মতো লুসেলে ডিউটি করছিলেন কেনিয়ান নিরাপত্তারক্ষী। হঠাৎই তিনি গ্যালারির একটি জায়গা থেকে পড়ে যান। যদিও আয়োজকদের তরফে কিংবা স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ, কেন এবং কী ভাবে পড়লেন কিবুয়ে, তা স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দেয়নি। তাতেই ঘনিয়ে উঠেছে বিতর্ক। যদিও আয়োজকদের তরফে বলা হয়েছে, মেডিকেল টিম অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিবুয়েকে হামাদ মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু তিনদিন পর অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর মারা গিয়েছেন তিনি। ডেলিভারি অ্যান্ড লেগাসি সুপ্রিম কমিটি জানিয়েছে, ডিউটি করার সময় হঠাৎই পড়ে যান কিবুয়ে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, মেডিকেল টিমের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৩ই ডিসেম্বর জন নাউ কিবুয়ে মারা যান। গত তিনদিন তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে।’
গত সপ্তাহে কাতারে একজন ফিলিপিনো কর্মী ট্রেনিং সাইটে কাজ করার সময় মারা যান। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপ দেখার জন্য দোহায় এসে মারা গিয়েছেন ওয়েলসের এক সমর্থক। ৬২ বছরের কেভিন ডেভিসের মৃত্যুর মধ্যে অস্বাভাবাবিকত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তো বিতর্ক শেষ হচ্ছে না। কেন এমন ঘটেই চলেছে? কেন এই সব আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে নীরব থেকে গিয়েছেন আয়োজক কমিটির কর্তারা? উত্তর খুঁজছে বহির্বিশ্ব। আর তা যে অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে, তা আর বলে দিতে হবে না!