দোহা: ২-০তে ঘানাকে হারিয়ে শেষ ষোলো প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল উরুগুয়ে (Uruguay)। কিন্তু অন্য ম্যাচের অঘটন ছিটকে দিল তাদের। দক্ষিন কোরিয়া (South Korea) পর্তুগালকে ২-১ পরাজিত করতেই পাল্টে যায় সমীকরণ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে কোরিয়া উঠে আসে দ্বিতীয় স্থানে। নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে লুই সুয়ারেজদের (Luis Suarez) দরকার ছিল আরও ১টি গোল। শেষ অবধি চেষ্টা চালিয়েও মেলেনি সেই গোলের দেখা। গ্রুপ লিগেই সুয়ারেজদের বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। এর পরই ক্যামেরায় ধরা পড়ে সুয়ারেজের কান্না ভেজা চোখ। ম্যাচ শেষের সেই মুহূর্ত কেমন ছিল? তুলে ধরল TV9 Bangla।
আল ওয়াকরার আল জানোব স্টেডিয়ামে শুক্রবার ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচের দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের শুরুটা হয়েছিল পরিকল্পনা মাফিক। ঘানার প্রাথমিক আক্রমণ সামলে পাল্টা আক্রমণে যায় দিয়েগো অলোনসোর দল। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় দিয়েগো অলোনসোর শিষ্যরা। ওদিকে পর্তুগাল-কোরিয়া ম্যাচ তখন ১-১ সমতায়। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন দুই ম্যাচের সমান থাকলে সুয়ারেজরা যেতে পারতেন শেষ ষোলোয়। দক্ষিন কোরিয়া ৯১ মিনিটে পর্তুগালকে আরও একটি গোল দিয়ে বসে। এই খবর মাঠে আসার পরই উরুগুয়ে শিবিরে বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তা। সুয়ারেজ সাইডবেঞ্চ থেকে আকার ইঙ্গিতে সতীর্থদের বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন আরও ১টা গোল লাগবেই। শেষ দিকে তাই পুরোপুরি আক্রমণে যায় উরুগুয়ে। তবে ঘানার গোলরক্ষকের সামনে পেরে ওঠেনি তাঁরা। শেষ অবধি গোলের দেখা মেলেনি।
বিশ্বকাপের স্বপ্নে ইতি ঘটে উরুগুয়ের। এটাই শেষ বিশ্বকাপ ছিল সুয়ারেজ, কাভানিদের। উরুগুয়ান ফুটবলে সুয়ারেজ এক মহাতারকা।২০১০ সালের বিশ্বকাপে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পিছনে তাঁর অবদান ছিল যথেষ্ট। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর দোরগোড়া থেকে এ ভাবে খালি হাতে ফিরতে হবে ভাবতে পারেননি। তাই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে তাঁর কান্নাই বলে দিচ্ছিল, শুরুতেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ার কষ্টটা ঠিক কতটা হতে পারে।