ইস্টবেঙ্গল-০ : মুম্বই সিটি০
ভাস্কো: দেশি না বিদেশি কোচ? এই বিতর্ক আবার নতুন করে উস্কে দিল আইএসএল (ISL)। বিদেশি কোচ, দারুণ অভিজ্ঞতা, অতীতের প্রচুর সাফল্য— ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চাকরি পাওয়ার অন্যতম শর্ত। দেশি কোচ হলে সহকারি হতে পারবেন শুধু। তার বেশি জুটবে না। কিন্তু বিদেশি কোচেদের প্রাধান্য দেওয়ার এই সব পুরনো তত্ত্বকে রীতিমতো মাঠের বাইরে ফেলে দিচ্ছেন রেনেডি সিংরা। দিয়াজদের মতো জয়হীন বিদেশি কোচ সরার পর একটা টিম যে অন্য রকম খেলতে পারে, গত বারের চ্যাম্পিয়নদের আটকে দিতে পারে, রেনেডির টিমকে না দেখলে বিশ্বাস হত না। গোলশূন্য ড্র নয়, চিমা যদি সুযোগ নষ্ট না করতেন, তা হলে ম্যাচটা জিততে পারত লাল-হলুদ। পর পর দুটো ম্যাচে ড্রয়ের পর প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, মারিও রিভেরাকে না নিয়ে রেনেডির উপর কি আস্থা রাখা যেত না?
The match between SC East Bengal and Mumbai City FC ends in a draw in the Tilak Maidan Stadium.
Both teams try their level-best but fail to break the deadlock.#SCEBMCFC #HeroISL pic.twitter.com/sYWmQ9KrmM
— SC East Bengal (@sc_eastbengal) January 7, 2022
যে কোচকে মাপা হয়, তার ফুটবল বোধ দিয়ে। বিপক্ষকে ঠিকঠাক বুঝতে পারা। স্ট্র্যাটেজিতে খামতি না রাখা। রক্ষণের সঙ্গে মাঝমাঠে ভারসাম্য তৈরি করা। আক্রমণে বল সাপ্লাই। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ টিমকে নিজের টিমের ডিফেন্সিভ থার্ডে ঢুকতে না দেওয়া। দিয়াজের সময় এ সব ছিলই না লাল-হলুদে। তালগোল পাকানো ছকে যে জেতা যায় না, এটা বুঝতেই পারছিলেন না স্প্যানিশ কোচ! তাঁরই সহকারী রেনেডি চমৎকার সাজালেন টিম। একমাত্র বিদেশি হিসেবে খেলালেন চিমাকে। অবশ্য তাঁর খেলা আর না খেলার মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। ৪-১-৪-১ এ টিম নামালেন। গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি কতটা ভয়ঙ্কর টিম, খুব ভালো করে জানতেন রেনেডি, চার ডিফেন্সের সামনে তাই স্ক্রিন হিসেবে রাখলেন সৌরভকে। ডিফেন্সে আদিল খান ভরসা দিলেন আবার। মাঝমাঠ বজায় রাখল ভারসাম্য।
এই আইএসএলে শেষ দুটো ম্যাচ টিমগেম দেখা গেল ইস্টবেঙ্গলে। প্রতিপক্ষ টিমে অ্যাঙ্গুলো, জহু, বিপিন, রেইনারদের ফরোয়ার্ড যে কতটা ভয়ঙ্কর, খুব ভালো করে জানতেন আদিলরা। সেই কারণেই দলগত সংহতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন প্রথম মিনিট থেকে। মুম্বই সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং তাঁর টিমের রক্ষণ সামলে দিল হেভিওয়েট মুম্বইকে। ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে গেল মুম্বই। সমান ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবলের তলানিতেই রইলেন অরিন্দমরা। তবু গত বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে যে টিমের বিরুদ্ধে ক’দিন আগে ৫ গোল হজম করেছিল মোহনবাগান, তাদের আটকে দেওয়া কৃতিত্বের তো বটেই।
ইস্টবেঙ্গল: অরিন্দম, অরমজিৎ, জয়নার, আদিল, হীরা, লালরিনলিয়ানা, লুওয়াং, সৌরভ, হাওকিপ, বিকাশ, চিমা।