বছর ঘুরতেই সব কেমন বদলে গিয়েছে। এক বছর আগে কার্লেস কুয়াদ্রাত হয়ে উঠেছিলেন প্রফেসর। ভালোবাসার নাম। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাই দিয়েছিলেন। কার্লেস কুয়াদ্রাত শুধুই কোচ ছিলেন না, একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তিত্ব। সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কথা। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে হয়েছে উল্টো। গত মরসুমে যে ইস্টবেঙ্গলের উত্তরণ হচ্ছিল নানা দিক থেকেই, এ বার তেমনই ‘অবনমন’। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়ছিল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে নিয়ে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ বার হারের হ্যাটট্রিকের পরই গ্যালারি থেকে গো-ব্যাক স্লোগান ওঠে। ঘরের মাঠে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা অস্বস্তিতে রেখেছিল কোচকেও। অবশেষে বিচ্ছেদের রাস্তাই বেছে নেওয়া হয়েছে।
কার্লেস কুয়াদ্রাতের উত্তরসূরি কে? ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বে কে আসবেন? ময়দানে এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। কুয়াদ্রাতের সঙ্গে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের পর আলোচনায় বসেন ক্লাব আর বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। মরসুমের এ সময় নতুন কেউ আসলেই সব কিছু রাতারাতি বদলে দেওয়া কঠিন। সে কারণে ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপাতত বিনো জর্জই ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র টিমকে দেখবেন। মিটিংয়ের পর কী বলল ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা?
ইমামি কর্তা বিভাস আগরওয়াল টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনও কোচকে ফাইনাল করতে পারিনি। যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা ফাঁকা নেই। দেশি, বিদেশি সমস্ত কোচই আমাদের ভাবনায় আছে। আমরা বিনো জর্জের উপর আপাতত ভরসা রাখছি। ৫ তারিখ আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের খেলা আছে। কলকাতা লিগে বিনোর কোচিংয়ে ভালো ফুটবল দেখেছি। আইএসএলেও হয়তো ভালো খেলবে। কার্লেস আমাদের দীর্ঘদিন বাদে ট্রফি দিয়েছে। ওর কৃতিত্বকে খাটো করা উচিত নয়। ও চলে গেলেও, দিমাস দেলগাডো, কার্লোস জিমিনেজরা আপাতত থাকছেই। তাই সবদিক দেখে ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে ভবিষ্যতে কাকে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে।’