Fifa Women’s World Cup 2023 : জার্মানি, ব্রাজিলের বিদায়; আন্ডারডগরা দাপাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ
কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কানাডা যেখানে ছিটকে গিয়েছে সেখানে মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা, জামাইকার মতো দলগুলি নকআউট স্টেজে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে।

কলকাতা : গ্রুপ পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে (Fifa Women’s World Cup 2023) শুরু হয়েছে নকআউট পর্ব। এরই মধ্যে বেশ কিছু অঘটন দেখা গিয়েছে চলতি বিশ্বকাপে। দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, দৃষ্টিনন্দন ব্রাজিল বা টোকিও অলিম্পিকসে সোনা জয়ী কানাডা বিশ্বকাপ থেকে দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। বিশ্বকাপের যুগ্ম আয়োজক নিউজিল্যান্ড ছিটকে গিয়েছে ৩টি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে ড্র করে। মহিলা বিশ্বকাপের নবম সংস্করণের নকআউট পর্বে স্থান করে নেওয়া কতটা কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে দলগুলি। চার বারের চ্যাম্পিয়ন আমেরিকা কোনওরকমে শেষ ষোলোয় পা রেখেছে। কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কানাডা যেখানে ছিটকে গিয়েছে সেখানে মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা, জামাইকার মতো দলগুলি নকআউট স্টেজে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে। অতি বড় ফুটবল বিশ্লেষকও হয়তো এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেননি। দিন বদলেছে। এখন ফুটবলের পাওয়ারহাউস টিমগুলিকে হারানোর জোর প্রচেষ্টা চলে আন্ডারডগদের মধ্যে। ‘আমরাও পারি’ এটা প্রমাণ করতে মরিয়া।
শেষ ষোলোর দলগুলি : স্পেন, সুইৎজারল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, নাইজেরিয়া, ফ্রান্স, মরক্কো, কলম্বিয়া এবং জামাইকা (শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে সুইৎজারল্যান্ড এবং নরওয়ে)। নামী টিমগুলিকে ছিটকে দিয়ে অঘটন ঘটাতে তৈরি আন্ডারডগ দলগুলি। এ বারের মহিলা বিশ্বকাপ নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। গ্রুপ স্টেজ পর্যন্ত ২০২৩ ফুটবল বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানগুলি দেখে নিন।
১. চলতি মহিলা বিশ্বকাপে মোট ১২৬টি গোল হয়েছে।
২. সবচেয়ে বেশি গোল রয়েছে জাপানের ১১।
৩. সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অ্যাসিস্ট ১০।
৪. গ্রুপ পর্বে গোল হজম না করা দলগুলি হল সুইৎজারল্যান্ড, জাপান এবং জামাইকা।
৫. সবচেয়ে বেশি হলুদ কার্ড দেখেছে কলম্বিয়া ও পর্তুগাল (৬টি)।
৬. সবচেয়ে বেশিবার লাল কার্ড দেখেছে নাইজেরিয়া (৫ বার)।
৭. সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাস খেলেছে স্পেন( ৬০৩)।
৮. ১৭ বার পেনাল্টি থেকে গোল হয়েছে।





