কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal), শুভাশিস বসুরা (Subhashis Basu)। মেগা ম্যাচের আগে উত্তেজনায় ফুটছেন রয় কৃষ্ণারা (Roy Krishna)। তবে সতর্ক কোচ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। হাইভোল্টেজ ম্যাচ জিতলেই এএফসি কাপের খেতাবের দিকে কয়েক কদম এগিয়ে যাবে সবুজ-মেরুন। তৈরি হয়ে যাবে ইতিহাসও। উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) এফসি নাসাফের (FC Nasaf) বিরুদ্ধে নামার আগে সমস্ত ছক সাজিয়ে রাখলেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ।
দুবাইয়ের শিবিরেই নাসাফ বধের রণকৌশল সাজিয়ে নিয়েছিলেন হাবাস। নাসাফের উইং প্লে বন্ধ করতে বাড়তি নজর এটিকে মোহনবাগান কোচের। উজবেকিস্তানের পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন কাউকোরা (Joni Kauko)। এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালেই সবুজ-মেরুন জার্সিতে অভিষেক হচ্ছে জনি কাউকোর। ইউরো কাপে (Euro Cup) খেলা ফেরা ফিনল্যান্ডের (Finland) এই ফুটবলার বাগানের জার্সিতে নিজের সেরাটা মেলে ধরতে মরিয়া। গ্রুপ পর্বে না খেললেও, নক আউটে কাউকোকে দিয়েই বাজিমাত করতে চাইছেন হাবাস। ম্যাচের আগের দিন মূল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন রয় কৃষ্ণারা। এফসি নাসাফের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফুটবল দলের রেকর্ড ভালো নেই। ১০ বছর আগে নাসাফের কাছে ০-৯ গোলে হেরেছিল ডেম্পো। তবে এটিকে মোহনবাগান অনেক শক্তিশালী দল। পাল্লা দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে তৈরি রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসরা।
ফুটবলারদের মানসিক ভাবে উদ্বুদ্ধ করছেন কোচ হাবাস। বিপক্ষ শিবির নিয়ে বাগান কোচের প্রতিক্রিয়া, ‘যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টেই এফসি নাসাফ খুব ভয়ঙ্কর। অনেক শক্তিশালী দল ওরা। ম্যাচের রং পাল্টে দেওয়ার মতো ফুটবলার রয়েছে ওদের দলে।’ বিপক্ষের উইং প্লে আটকাতে সব রকম স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে ফেলেছেন। একই সঙ্গে বিপক্ষের জালে বল জড়াতেও রয় কৃষ্ণাদের স্ট্র্যাটেজি বাতলে দিচ্ছেন হাবাস। বিপক্ষের রক্ষণে ফাঁকা জায়গা তৈরি করে গোলের মুখ খোলাই লক্ষ্য রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসদের (David Williams)। জনি কাউকোকে পেয়ে দলের ধার আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন হাবাস। সমর্থকদের জন্য মাঠে নিজেদের একশো শতাংশ দিতে তৈরি ম্যাকহিউরা (Carl Mchughes)।
প্রবীর দাস (Prabir Das) ও সুসাইরাজ (Soosairaj) দলে ফিরলেও ওদের বেশিক্ষণ মাঠে রাখার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না হাবাস। কারণ দীর্ঘদিন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে নেই এই দুই ফুটবলার। ম্যাচে নামার আগেই প্রথম একাদশ ঠিক করে নেবেন বাগান হেডস্যার।
ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে উজবেকিস্তান। এফসি নাসাফের উজবেক ফুটবলাররাও মনবীর (Manvir Singh), লিস্টনদের (Liston Colaco) চেয়ে ধারে ভারে এগিয়ে। নাসাফের সার্বিয়ান স্ট্রাইকার অ্যান্ড্রিজা কালুদেরোভিচকে রুখতে বাড়তি দায়িত্ব থাকছে ম্যাকহিউয়ের কাঁধে। নিউজিল্যান্ডে একই ক্লাবে রয় কৃষ্ণার সঙ্গে অ্যান্ড্রিজা। সেই সময় রাইট উইংয়ে খেলতেন রয় কৃষ্ণা। মাঠে নামার আগে বাগানের তারকা ফুটবলারের প্রশংসাও করেন নাসাফের উজবেক স্ট্রাইকার। তাঁর চোখে দেখা রয় কৃষ্ণা অন্যতম সেরা দ্রুত গতির ফুটবলার।