চেন্নাই: এ বারের আইএসএলে এক ডজন হার। কোচের কোনও ভুল নেই! বরাবরের মতো চেন্নায়িনের কাছে হারের পরও যাবতীয় দায় ফুটবলারদের উপরই চাপালেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। প্রথম ছয়ে থাকার আশা অনেক আগেই শেষ হয়েছিল। বাকি ম্যাচগুলি সুপার কাপের প্রস্তুতি এবং ‘মর্যাদা’ রক্ষার জন্য় খেলবে দল, এমনটাই মন্তব্য় করে আসছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। চেন্নায়িনের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধ গোলশূন্য়। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল হজম। বিশেষত, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল খাওয়া, যেটি আত্মঘাতী গোল দেওয়া হয়। আর একটি গোল নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ আগে। আরও এক বার ফুটবলারদের উপর দায় চাপিয়ে নানা মন্তব্য়ই করলেন স্টিফেন। তবে শুধু ফুটবলার নয়, কোচিং নিয়েও প্রশ্ন তুললেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
চেন্নায়িন ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘যদি কেউ ভেবে থাকেন আমরা সেরা ছয়ে থাকবোই, তা হলে বলব আপনাদের ভাবনাটাই ঠিক নয়। কারণ, সেরা ছয়ে থাকার মতো দল আমার হাতে নেই। সেই মানের খেলোয়াড় নেই। যারা রয়েছে, যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে। পাঁচটা ম্যাচ জিতেছি। আইএসএলে গত মরসুমগুলিতে সেটাও পারেনি দল। এই ম্যাচের আগে দুটো ম্যাচে অপরাজিতও ছিলাম আমরা। এই মরসুম ঠিকঠাক না গেলেও আগামী মরসুমে আমরা আরও ভালো প্রস্তুতি নিয়ে নামব। আশা করি, আগামী মরসুমে সেরা ছয়ের মধ্যে থাকতে পারব’।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ আরও যোগ করলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা যে দু-তিনটি সুযোগ পেয়েছিলাম, গোল করতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই গোল খাওয়া অদ্ভূত। রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই ফ্রি কিক নেওয়া হয় এবং তার পরই গোল হয়। যতদূর জানি, রেফারির বাঁশি না বাজা সত্ত্বেও কোনও খেলোয়াড় যদি ফ্রি কিক নেয়, তা হলে তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। এক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তার পরেও আমরা সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে পাঁচ-ছ’মিনিট আগে গোল হয়ে গেলে আর কীই বা করার থাকতে পারে’?
পরের দুই ম্যাচে আরও কঠিন প্রতিপক্ষ অপেক্ষা করছে ইস্টবেঙ্গলের জন্য। এক দল টেবলে শীর্ষে রয়েছে। আর এক দলের বিরুদ্ধে প্রত্যাশার পাহাড় নিয়ে নামতে হয়। এ বার হয়তো প্রত্যাশার পাহাড় থাকবে না। দলের যা হাল, সমর্থকরা বহু আগেই আশা ছেড়ে দিয়েছেন। পরের দুই প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি ও এটিকে মোহনবাগান। বাকি দুই ম্যাচে প্রথম একাদশে বড়সড় কোনও পরিবর্তন আনতে চান কী না প্রসঙ্গে স্টিফেন বলেন, ‘শেষ দুটো ম্যাচে অনেক জুনিয়র ফুটবলারকে সুযোগ দিতে পারি। কিন্তু আমাদের ফল দরকার। মুম্বই সিটি এফসি ও এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে রিজার্ভ দল নামানোর কোনও পরিকল্পনাও আমাদের নেই। হাতে যারা রয়েছে, তাদের মধ্যে থেকেই সেরা এগারোজন নামাতে হবে। কিছু পাওয়ার আশা নিয়েই দল নামাব’।