চেন্নাই: মর্যাদা রক্ষার ম্য়াচ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিটা ম্যাচ এ ভাবেই দেখছে ইস্টবেঙ্গল শিবির। হারানোর কিছু নেই লাল-হলুদের। তারপরও চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারছে না। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এ বার কি মনোবিদ প্রয়োজন ইস্টবেঙ্গলের? এ বারের আইএসএলে এক ডজন হার সম্পূর্ণ হল লাল-হলুদের। এ দিন চেন্নায়িন এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-২ ব্য়বধানে হার। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে চারটি পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। রাকিপ, অ্যালেক্স লিমা, সৌভিক চক্রবর্তী, সুমিত পাসির পরিবর্তে সার্থক গোলুই, জর্ডন ড’হার্তি, মোবাশির ও ভিপি সুহের। সুপার কাপের আগে দলের সকলকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে চান ইস্টবেঙ্গল কোচ। অ্যালেক্স লিমা অবশ্য কার্ড সমস্যায় নেই। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মর্যাদা রক্ষার ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের চিন্তা বাড়ে মাত্র ৬ মিনিটেই। গোড়ালিতে চোট পান কিরিয়াকু। মাঠেই তাঁর শুশ্রুষা চলে। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে ম্যাচ। সেই চিন্তা দীর্ঘস্থায়ী না হলেও পারফরম্য়ান্স গভীর চিন্তায় রাখল। ঘরের মাঠে দাপুটে ফুটবল চেন্নায়িন এফসির। ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করে গেল চেন্নায়িনই। প্রথম ২০ মিনিটে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে তারা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে মরিয়া চেষ্টা চালায় ইস্টবেঙ্গলও। জেক জার্ভিস অনবদ্য একটা সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেননি। গোলশূন্য় অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দু-দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই বদলে গেল ম্য়াচের রং।
প্রথমার্ধে প্রচুর চাপ তৈরি করেছে চেন্নায়িন এফসি। তার ফল মিলল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। গোলের খাতাও খুলল তারা। ৪৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কারিকারি। প্রাথমিক ভাবে তাঁর নামেই গোল দেওয়া হয়। যদিও পরে সরকারি ভাবে জানানো হয়, সেটি চুংনুঙ্গার আত্মঘাতী গোল। এখানেই অবশ্য শেষ নয়। আরও এক ঝাঁক সুযোগ তৈরি করে চেন্নায়িন। প্রচুর সুযোগ মিস করেছে চেন্নায়িন এফসি। অবশেষে ব্য়বধান বাড়ল নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে। ম্য়াচের ৮৭ মিনিটে আরও একটি গোল। এ বার আর আত্মঘাতী নয়। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে খেলা ভারতের তরুণ স্ট্রাইকার রহিম আলি গোল করে ইস্টবেঙ্গলের এক ডজন হার নিশ্চিত করেন।