কলকাতাঃদিনভর নাটক ইস্টবেঙ্গলে। দীর্ঘ কয়েক মাসের চুক্তি বিতর্ক থেকে হঠাত্ই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইনভেস্টর। শ্রী সিমেন্টের তরফে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, ইস্টবেঙ্গল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তারা। ঘণ্টাখানেক যেতে না যেতে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। দু’পক্ষের সমস্যা মেটাতে আসরে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে মুখোমুখি বৈঠকে শ্রী সিমেন্ট ও ইস্টবেঙ্গলকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে সমস্যা মিটিয়ে আইএসএলে নামতে পারে লাল-হলুদ।
দুপুরে ইনভেস্টারের তরফে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত উত্সব শুরু হয়ে যায় কর্তামহলে। কোয়েসকে সরানোর পর যে নৈতিক জয়ের কথা বলা হয়েছিল, সেই কথাই শোনা যায় কর্তাদের মুখে। বলা হয়, চাপের মুখেও ক্লাব বিকিয়ে দেননি কর্তারা। দুপুরে ইনভেস্টারের সরে যাওয়ার খবর ছড়াতেই ক্লাবে ভিড় করেন কর্তা ঘনিষ্ঠ সমর্থকরা। পোস্টারে ছয়লাপ করে দেন ক্লাব চত্ত্বর। তখনই প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কি এ বার আইএসএলে খেলবে না ইস্টবেঙ্গল? পরিস্থিতির যা দাবি, তাতে শ্রী সিমেন্ট ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে আইএসএল খেলা সম্ভব নয়। নতুন ইনভেস্টার নিয়ে এলেও এই আইএসএলে লাল-হলুদ নামতে পারবে না। তা খুব ভালো করে জানা সত্ত্বেও ক্লাব কর্তারা কেন এমন আচরণ করছেন? ইস্টবেঙ্গলের জটিল পরিস্থিতি নিয়ে নজিরবিহীন আলোচনায় বসে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তারা।
ক্লাবের ফুটবল ভবিষ্যত্ নিয়ে যখন কর্তারা উদাসীন, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসরে নামলেন। ইস্টবেঙ্গলকে যে আইএসএলে দেখতে চান, তা বারবার বলে এসেছেন তিনি। ইনভেস্টরের আচমকা সিদ্ধান্তে মমতা স্পষ্টই বিরক্ত হন। আর তাই জটিলতা মেটাতে আসরে নামেন তিনি। নবান্নে বুধবারই হয়তো মিটে যেতে পারে দু’পক্ষের যাবতীয় সমস্যা। দাবি, পাল্টা দাবির খেলায় মত্ত ইস্টবেঙ্গল কি বুধবারই সব জটিলতা মিটিয়ে আইএসএলের পথে এগোতে শুরু করবে?