কলকাতা: সামনের মরসুমে ভালো দল গড়ার জন্য ইনভেস্টরকে কোচ, ফুটবলারদের তালিকা পাঠিয়েছে ক্লাব। কার্যকরী কমিটি এবং কিছু প্রাক্তন ফুটবলারদের মত নিয়ে সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে বোর্ড অব ডিরেক্টরদের। কোচের তালিকায় রয়েছে হাবাস, লোবেরা, মানোলোদের নাম। বিদেশি ফুটবলারদের তালিকায় রয়েছেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট, আদ্রিয়ান লুনা, লেস্কোভিচদের মতো হাইপ্রোফাইল নাম। দেশি ফুটবলারদের মধ্যে আকাশ মিশ্র, অনিরুদ্ধ থাপা, রহিম আলি, লালরিনজুয়ালা ছাংতে, ঋত্বিক দাস, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজদের নাম উল্লেখ করেছে ক্লাব। এই তালিকা নিয়ে কী ভাবছে ইনভেস্টর? ক্লাবের তালিকাকে কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখছেন লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা? ভালো ফল পেতে, ভালো দল গড়া দরকার। কথাটা সবারই জানা। প্রত্যেক বছরই ভালো মানের ফুটবলারের অভাব দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। আর তার প্রভাব পড়েছে দলের পারফরম্যান্সে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ইনভেস্টরকে দেওয়া ক্লাবের চিঠির খবর কিভাবে প্রকাশ্যে এল তা নিয়ে অবাকই হয়েছে লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা। একই সঙ্গে ক্লাবের ‘উইশ লিস্ট’ দেখার পর ঘনিষ্ঠমহলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। সামনের মরসুমের জন্য ক্লাব যে সমস্ত ফুটবলারদের তালিকা দিয়েছে তাঁদের অধিকাংশের সঙ্গেই পুরনো ক্লাবের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে। ঘনিষ্ঠমহলে লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের প্রশ্ন, এই সমস্ত ফুটবলারদের ব্যাপারে কি ক্লাব কর্তারা খোঁজ খবর রাখেননি?
পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়েই ক্লাবের দেওয়া কোচ-ফুটবলারদের তালিকা নিয়ে আলোচনা হবে। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি শেষ হচ্ছে ৩১ মে। পরের বছর ব্রিটিশ কোচকে না রাখার ব্যাপারে একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা। ক্লাবের পছন্দের তালিকাতেও নেই কনস্ট্যান্টাইনের নাম। সুপার কাপের আগে পরের বছরের তালিকা নিয়ে সামনাসামনি কিছু মুখ খুলতে চাইছেন না বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। তাঁদের মতে, এতে সুপার কাপে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। তাই তলায় তলায় পরের বছরের কাজ এগিয়ে রাখছেন লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা। যদিও, ক্লাবের ‘উইশ লিস্ট’ দেখে বিস্মিত ম্যানেজমেন্ট।
গত বছর অগস্টে নতুন লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তির আগেই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেজকে দু’বছরের জন্য সই করায় ক্লাব। আইএসএলে ইভানের পারফরম্যান্স মোটেই প্রশংসনীয় নয়। আরও এক বছর তাঁর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি থাকলেও, ইভানকে ছেড়ে দেওয়ার কথা চিঠিতে জানিয়েছে ক্লাব। সেক্ষেত্রে চুক্তির বাকি টাকা পেমেন্ট করেই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে ছাড়তে হবে। সেই আর্থিক ঝক্কি সামলানোর দায় কি ক্লাব নেবে? ঘনিষ্ঠমহলে এমনটাই প্রশ্ন ইনভেস্টর কর্তাদের।
লাল-হলুদ জনতা ভালো রেজাল্ট চান। পর্দার আড়ালে ক্লাব-ইনভেস্টরের বল ঠেলাঠেলি নিয়ে তাঁরা বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। সামনের বছরের জন্য কতটা ভালো দল গড়তে পারবে ইস্টবেঙ্গল, সেই উত্তরের খোঁজেই সমর্থকরা।