AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বর্ণবিদ্বেষ মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল: সিরাজ

বাবাকে হারানোর পর কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন সিরাজ। শুধু তাই নয়, সেই সময় বান্ধবীও যোগাযোগ ছিন্ন করায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।

বর্ণবিদ্বেষ মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল: সিরাজ
সৌজন্যে-এএনআই টুইটার
| Updated on: Jan 21, 2021 | 7:37 PM
Share

হায়দরাবাদ: ঐতিহাসিক বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জিতে ভারতীয় দল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে। সিরিজ জয়ের পর দেশে ফিরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা যেন অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের বাড়ির কাছে অগণিত ভক্তদের ভিড়। ভারতীয় পেসার মহম্মদ সিরাজ দেশে ফিরেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর বাবার কবরে, শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে সিরাজ বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবিদ্বেষের শিকার হওয়ার পর আম্পায়াররা আমাদের বলেছিল, যদি মনে করি, মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারি।” সেই সময় অধিনায়ক রাহানে বলেন, “খেলার উর্ধ্বে কিছু হয় না। আমরা খেলা চালিয়ে যাব।” সিরাজ যা নিয়ে বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য আমার মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল।”

সিরাজ অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে বরাবরই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে পাশে পেয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন সিরাজের বাবা মারা যান। তারপরও দেশে ফেরেননি তিনি। ওই কঠিন সময়ে দলকে পাশে পেয়েছিলেন তিনি। সিরাজ বলেছেন, “বাবার মৃত্যুর পর কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম।  কী করব, বুঝতে না পেরে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁরাই আমাকে বুঝিয়েছিলেন, বাবার শেষ ইচ্ছেপূরণ করাই লক্ষ্য নিয়ে আমি যেন এগিয়ে যাই। তখন আমার বান্ধবীও আমাকে ব্লক করে দিয়েছিল। কিন্তু আমার পরিবার ও পুরো ভারতীয় টিমকে আমি পাশে পেয়েছিলাম।”

আরও পড়ুন: শহরে পৌঁছেই বাবার কবরে প্রার্থনা সিরাজের

হারদরাবাদে পৌঁছেই খিরতাবাদের কবরখানায় গিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার। বাবার কবর সাজিয়েছিলেন ফুল দিয়ে। বাবার আত্মার শান্তি কামনা করে দীর্ঘক্ষণ প্রার্থনাও করেন তিনি। মায়ের হাতের করা খাবার খেয়ে তৃপ্ত সিরাজ বলেছেন, “বহুদিন পর মায়ের হাতের করা খাবার খেলাম। বাড়ি ফিরে ভীষণ ভালো লাগছে। বাবা বেঁচে থাকলে আজ ভীষণ খুশি হতেন।”

সিরাজ বেশ নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। প্রত্যেকটা উইকেট বাবাকেই উৎসর্গ করতেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সিরাজ বলেছেন, “একের পর এক ক্রিকেটার যখন চোটে কাবু, তখন দল আমার ওপর ভরসা রেখেছিল। আমি সেই ভরসার মান রেখেছি।” অস্ট্রেলিয়ায় তিন টেস্টে খেলে মোট ১৩ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ।